সিগারেটসহ বিভিন্ন তামাকজাত পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আজ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণভোটে অংশ নিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের ভোটাররা। ভোটের অন্যতম প্রস্তাব হচ্ছে, কমবয়সীদের চোখে পড়তে পারে এমন স্থানে তামাকের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা। গণভোটে বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধের পক্ষে রায় আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউরোপের অধিকাংশ দেশ তামাক বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে কঠোর নিয়ম করলেও সুইজারল্যান্ডে এখনও তা ঢিলেঢালা। বিবিসি।
সুইজারল্যান্ড অনেক আগেই তামাকের বিরুদ্ধে কঠোর নিয়মে যেতে পারত। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স বা জার্মানিতে অনেক আগে থেকে পার্ক কিংবা রেস্তোঁরায় ধূমপান নিষিদ্ধ থাকলেও সুইসরা তা করেনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তামাক নিয়ন্ত্রণের ঐতিহাসিক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন প্রায় ২০ বছর আগে জেনেভায় আলোচনা করা হয়েছিল। সুইজারল্যান্ড এটিতে স্বাক্ষর করেছে, কিন্তু এখনও অনুমোদন করেনি। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিজ্ঞাপনের বিষয়ে দেশটির আইন সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের চেয়ে সুইজারল্যান্ডে সিগারেট বেশ সস্তা। ২৭ শতাংশ সুইস ধূমপান করে থাকে। এ হার ইউরোপীয় অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। পার্লামেন্টে কঠোর বিধিনিষেধ প্রবর্তনের লক্ষ্যে বারবার আইন করার প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তামাক নিষেধাজ্ঞার দাবিতে প্রচারকারীরা যথেষ্ট স্বাক্ষর সংগ্রহ করার প্রেক্ষিতে অবশেষে সুইস সরকার না ভোটের সুপারিশ করেছে।
এই দেশটিতে রয়েছে বিশ্বের প্রধান তামাক কোম্পানির উপস্থিতি। ফিলিপ মরিস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো এবং জাপান টোব্যাকোর সদর দফতর সুইজারল্যান্ডে অবস্থিত।
তামাক শিল্প সুইস অর্থনীতিতে বছরে ৬ বিলিয়নের বেশি ডলারের অবদান রাখে। প্রতিবছর এ খাতে ১১ হাজারের বেশি লোক কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। তামাকজনিত পণ্য সেবনের কারণে বছরে ৯ হাজার জন মারা যায়। সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন