মাসুদুল হক, বাগেরহাট থেকে : বাগেরহাটের দড়াটানা ব্রিজ এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদিন (জেএমবি) দলের সদস্যদের সাথে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ চার জেএমবি সদস্যকে হাত বোমাসহ গ্রেফতার করেছে। এসময় জেএমবি’র ছোড়া হাত বোমায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা ব্রিজের নিচে একটি চায়ের দোকানে জেএমবি সদস্যরা নাশকতার পরিকল্পনায় অবস্থান করছে বলে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে জেএমবি সদস্যরা বোমা নিক্ষেপ করে। এসময় বোমা হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের এএসআই নাজমুল হোসেন ও কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান আহত হয়। পরে পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে ঐ এলাকা ঘিরে ফেলে ৪ জন জেএমবি সদস্যকে আটক করে। এসময় অজ্ঞাত ২/৩ জন জেএমবি সদস্য পালিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলো, সাতক্ষীরা জেলা সদরের গড়েরকান্দা গ্রামের জুম্মান আলী সরদারের ছেলে মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে তোতা (২৪), একই জেলার ইটগাছা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৬), কদমতলা বাজার এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মোরশেদ আলম (২০) ও পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আশরাফুল আলী ফরাজীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (২২)।
উদ্ধার করা মালামালের মধ্যে রয়েছে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি, ২টি বোমা, একটি ল্যাপ্টপ, ধারালো অস্ত্র , ২টি মোবাইলসহ বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে বাগেরহাট শহরের দড়াটানা ব্রিজের নিচে একটি চায়ের দোকানে জেএমবি সদস্যরা নাশকতা পরিকল্পনায় অবস্থান করছে বলে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে বাগেরহাট মডেল থানা ও গোয়ান্দা পুলিশ অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জেএমবি সদস্যরা পুলিশের উপর বোমা নিক্ষেপ করলে পুলিশও পাল্টাগুলি চালায়। এসময় ৪ জন জেএমবি সদস্যকে আটক করা হয়। বোমা হামলায় পুলিশের ২ সদস্য আহত হয়। এঘটনায় অস্ত্র, বোমা বিস্ফোরণ, তথ্য-প্রযুক্তি আইনসহ ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন