মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ইসি গঠনে সংসদের সংশ্লিষ্টতা রাখতে প্রেসিডেন্টকে ওয়ার্কার্স পার্টির চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগে প্রেসিডেন্টের কাছে যে দশজনের নাম সার্চ কমিটি দেবে, তা প্রকাশের পাশাপাশি এ প্রক্রিয়ায় সংসদের সংশ্লিষ্টতা রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি। গতকাল রোববার দলের পক্ষ থেকে বঙ্গভবনে এই চিঠি পৌঁছে দেন পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান এবং দপ্তর সহকারী ফাহাদ বিন হাসান। চিঠি পৌঁছে দিয়ে কামরুল আহসান বলেন, দলের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা স্বাক্ষরিত ওই চিঠি বঙ্গভবনে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে একজন কর্মকর্তা চিঠি গ্রহণ করেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা থাকায় আমরা সরাসরি চিঠি পৌঁছে দিতে পারিনি। তাছাড়া সময়ও কম। সেজন্য বঙ্গভবনে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে আইন অনুযায়ী যোগ্য বিবেচিতদের মধ্যে ১০ জনের নাম প্রেসিডেন্টের কাছে প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি। তাদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে বেছে নিয়ে প্রেসিডেন্ট গঠন করবেন নির্বাচন কমিশন। সেই ইসির ওপরই থাকবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার।
নির্বাচন কমিশন নিয়োগ নিয়ে প্রেসিডেন্টের ডাকা সংলাপের ফলাফল হিসাবে সংসদের বর্ষশুরুর অধিবেশনে বিল উত্থাপন ও আইন পাস হওয়ায় রাষ্ট্রপ্রধানকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে ওয়ার্কাস পার্টির চিঠিতে। সেখানে বলা হয়েছে, সেই সংলাপে সকল রাজনৈতিক দলই ওই আইন প্রণয়নের কথা বলেছিল, তিনিও তেমনি এই আইন প্রণয়নের জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন।
ওয়ার্কার্স পার্টি বলছে, অনুসন্ধান কমিটির দেওয়া নামের তালিকা প্রকাশে আইনে কোনো বাধা নেই। প্রেসিডেন্ট প্রয়োজন মনে করলে নামগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য জাতীয় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতাসহ অন্য দলের সদস্যরা আছেন, সেখানে পাঠাতে পারেন। এর ফলে এক দিকে যেমন জনগণ বিষয়টি অবহিত হতে পারবে, কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে পাঠানো হলে জাতীয় সংসদের সংশ্লিষ্টতাও হবে। দীর্ঘদিনের পার্লামেন্টারিয়ান, স্পিকার ও প্রেসিডেন্ট হিসাবে মো. আবদুল হামিদের অভিজ্ঞতার ওপর ওয়ার্কার্স পার্টির ‘দৃঢ় আস্থা’ থাকার কথা বলা হয়েছে ওয়ার্কাস পার্টির চিঠিতে। রাষ্ট্রপ্রধান যে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেবেন, তা জনগণের আস্থাভাজন হবে ও তারা ভবিষ্যতে দেশবাসীকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সক্ষম হবেন বলেও সেখানে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন