স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি দিন, জনগণকে বিচার করার সুযোগ দিন, দেখুন ওই দিবসে জনগণের সম্পৃক্ততা আছে কি না। গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ নভেম্বর বলে জনগণ কিছু মানে না বলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের দেয়া বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণ নিয়ে মুখরোচক কথা বলেন। যেদিন সত্যিকার অর্থে জনগণের রায় পাওয়া যাবে সেদিনই আওয়ামী লীগ বুঝতে পারবে ৭ নভেম্বর জনগণ বিশ্বাস করে বা মানুষ পালন করে কি না।
রিজভী বলেন, জনগণ মানে না, মানার জন্য যে পদ্ধতিগুলো দরকার সেই পদ্ধতিগুলো তো উনারা (আওয়ামী লীগ) ভেঙে ফেলেছে। জনগণের কথা বলে অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিবাদী আচরণ করবেন আর জনগণের ভোটাধিকার দেবেন না। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন জোর করে দখল করেছেন। ১৫৩টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নেই, এমনকি প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। কাজেই জনগণ মানে না বলে তাদের মুখে এসব কথা মানায় না।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি ৮ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার ব্যাপারে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তাই ৮ নভেম্বর জনসভা করার জন্য যথাযথ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়েছি। আাশা করি অনুমতি দেবে। আর অনুমতি না দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী আহমেদ বলেন, ৭ ও ৮ নভেম্বর এই দুই দিনের জন্যই অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তাই ৭ কিংবা ৮ যে দিনই অনুমতি দিক না কেন সেদিনই জনসভা করা হবে। দেখি এখনো সময় আছে। যদি সে সময়ে না দেয় তাহলে পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে তা আপনাদের কাছে তুলে ধরা হবে। এখন বিএনপি বিশ্বাস করে যে অনুমতি দেবে।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ হানা দিচ্ছে এবং ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা মনে করছি এটি বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর শুধু অগণতান্ত্রিক আচরণই নয় বরং এটি অবৈধ রাষ্ট্রক্ষমতার জোরে দেশব্যাপী আধিপত্য বজায়ের আরো একটি ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার গোষ্ঠীদুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে সবকিছু খেয়ে উজাড় করার পর এখন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভ্যাট আরোপের নামে তাদের নিঃস্ব ও ধ্বংস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন