কুমিল্লার হোমনায় নির্বাচনী শত্রæতার জের ধরে সালাহ উদ্দিন ওরফে জহির নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘনিয়ারচর-তেভাগিয়া স্টিল ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। যুবলীগ নেতা সালাহ উদ্দিন জহিরকে একা পেয়ে কুপিয়ে মৃত্যু হয়েছে মনে করে ফেলে চলে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত সালাহ উদ্দিন জহির আছাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর গ্রামের মো. রেনু মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগ কর্মী ও ওয়াইফাই ব্যবসায়ী।
পরিবারের দাবি, নির্বাচনকে ঘিরে শত্রæতার জের ধরে এ হত্যাকাÐ ঘটানো হয়েছে। নিহতের চাচা ওয়ার্ড আওয়ামীল সভাপতি মো. শহিদ মিয়া জানান, নির্বাচনী শত্রæতায় আমার ভাতিজাকে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের পর থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান জালাল পাঠান ও তার ভাতিজা মুকবল পাঠানের ইন্ধনে তাদের লোকজন প্রকাশ্য নৌকার কর্মীদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সালাহ উদ্দিন জহির মারা যাওয়ার আগে বলে গেছে ১০-১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রæপ তাকে কুপিয়েছে। এর মধ্যে ইয়াসিন, শামীম, সেলিম, বাছিরসহ কয়েক জনের নাম বলতে পেরেছে। জালাল উদ্দিন পাঠান যুবলীগ নেতা মুসলেম হত্যা মামলার আসামি ও মুকবল পাঠান একাধিক নারী পাচার মামলার আসামি।
ইউপি চেয়ারম্যান মুঠো ফোন রিসিভ না করায় ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মুকবল হোসেন পাঠান জানান এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে এর সাথে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, নিহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন