বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : যারা ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করতে চায়, তারা মূলত পাকিস্তানের এজেন্ট। ৭ নভেম্বর কোনো বিপ্লব হয়নি সেটা ছিল সৈনিক হত্যা দিবস। ১২০০ মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা করে কিসের বিপ্লব পালন করতে চায় বিএনপি। গতকাল শুক্রবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাবির আরসি মজুমদার মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এ কথা বলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি আব্দুল বাসেত মজুমদার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল শামীম, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ভিসি প্রফেসর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দীক।
হানিফ আরো বলেন, জেল হত্যা দিবস ছিল ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা এবং জিয়া এর সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তা না হলে তিনি ক্ষমতায় আসার পর কারা কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলা তুলে নিলেন কার স্বার্থে? তিনি বিএনপির প্রতি ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের আদর্শ জানতে চান। তিনি বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য সৈনিক হত্যার উৎসবে মেতে উঠে কোনো বিপ্লব হয় না, সেটা হয় গণহত্যা। ৭ নভেম্বর কোনো বিপ্লব দিবস নয়, বরং সেটা গণহত্যা দিবস। পাকিস্তানের ইশারায় সেদিন তাদের এদেশীয় দোসররা মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকেই হত্যা করতে চেয়েছিল।
আব্দুল বাসেত মজুমদার বলেন, যারা বঙ্গবন্ধু ও জেলহত্যার সাথে জড়িত তাদের সাথে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে কোনো আলোচনা হতে পারে না। তারা দেশদ্রোহী ও স্বাধীনতা বিরোধী।
প্রফেসর অধীর চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন ঢাবি ভিসি ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দীক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন