শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

আমি বিশ্বাস করি ইনকিলাব আবার হারানো গৌরব ফিরে পাবে : অধ্যাপক আবদুল গফুর

জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব শুধুমাত্র একটি নাম নয়, এটি একটি আদর্শ ও চেতনার ধারক ও বাহক। এদেশের ইসলামী তমদ্দুন ও সংস্কৃতির বিকাশে ইনকিলাব অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে। আমি বিশ্বাস করি এখনো চেষ্টা করলে ইনকিলাব তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তাই আমরা করব। ভাষা সৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর তার ৯৪তম জন্মদিনে সহকর্মীদের কাছে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

ভাষা সৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুরের গতকাল ছিল ৯৪তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে দৈনিক ইনকিলাবের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। অধ্যাপক গফুরের যাত্রাবাড়ির কোনাপাড়ায় নিজ বাসভবন একতা টাওয়ারে ইনকিলাব সম্পাদকের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে, কেক কেটে এবং তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় মোনাজাতের মাধ্যমে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (বাণিজ্য ও প্রশাসন) মো. আব্দুল কাদের, সহকারী সম্পাদক মুনশী আবদুল মান্নান, সহকারী সম্পাদক মেহেদী হাসান পলাশ, বিশেষ সংবাদদাতা রফিক মুহাম্মদ, ফটো সাংবাদিক মতিউর সেন্টু, সহসম্পাদক সৈয়দ ইবনে রহমত প্রমুখ।

জন্মদিনে ইনকিলাব পরিবারকে কাছে পেয়ে অসুস্থ অধ্যাপক আবদুল গফুর অত্যন্ত খুশি হন। দীর্ঘদিনের সহকর্মীদের দেখে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি তখন সহকর্মীদের সাথে স্মৃতিচারণ শুরু করেন। স্মৃতিচারণে তিনি ইনকিলাবে প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) কথা স্মরণ করেন এবং তিনি কিভাবে তাকে পত্রিকায় এনেছিলেন সে কথাও তুলে ধরেন। তিনি ইনকিলাব সম্পাদকের ভূয়শীপ্রশংসা করেন এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক আবদুল গফুর বলেন, একটি মহান লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ইনকিলাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন আপনার লেখা একটি বই কতজন পাঠক পড়ে। আমি বলেছিলাম পাঁচশ’ থেকে সর্বোচ্চ হাজার লোকে পড়ে। তখন তিনি বললেন, আমরা যদি এমন কিছু করি যে আপনার একটি লেখা প্রকাশের পর লাখ লাখ পাঠক পড়বে। তার এ কথায় আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু পরে যখন ইনকিলাব প্রকাশিত হলো তখন সত্যি তা লাখ লাখ পাঠকের হাতে চলে গেল। ইনকিলাবের এত পাঠকপ্রিয়তা দেখে অন্য অনেক পত্রিকার মালিক তখন বলতো আমাকে ইনকিলাবের মতো একটা পত্রিকা বের করে দেন। তিনি বলেন ইনকিলাব শুধুমাত্র একটি পত্রিকা নয় এটি একটি আদর্শ ও চেতনার নাম। এদেশের ইসলামী তমুদ্দুন ও সংস্কৃতির বিকাশে ইনকিলাব অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে। আমি বিশ্বাস করি এখনো চেষ্টা করলে ইনকিলাব তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে। হারানো গৌরব ফিরে পাওয়ার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন তাই আমরা করব। আমাদের সম্পাদক অত্যন্ত যোগ্য এবং আন্তরিক। আমি দোয়া করি তিনি যেন সুস্থ থাকেন এবং ইনকিলাব যেন আগের মতো পাঠক প্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায়।

বিশিষ্ট ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর ১৯২৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তর ফরিদপুর (বর্তমান রাজবাড়ি) জেলার পাংশা থানার দাদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম হাজী হাবিল উদ্দিন মুন্সী এবং মাতা মরহুমা শুকুরুন্নেসা খাতুন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী আবদুল গফুর তার সুদীর্ঘ বর্ণাঢ্য জীবনে নিজেকে একাধারে শিক্ষক, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও সংগঠক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদানকারী এই সৈনিক পরবর্তীতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৭ সালে সাংবাদিকতা শুরু করা অধ্যাপক আবদুল গফুর একমাত্র ব্যক্তি যিনি এখনো এই পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন এবং তার লেখনীর মাধ্যমে সর্বদা দেশকে দিয়ে যাচ্ছেন সঠিক পথের দিশা। বর্তমানে তিনি দৈনিক ইনকিলাবের ফিচার সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (20)
Tanvir Saki ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৩ এএম says : 0
প্রিয় মুখ অধ্যাপক গফুর মহাশয়ের সুস্থতা ও সুদীর্ঘায়ু কামনা করছি।
Total Reply(0)
Rezaul Karim ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৩ এএম says : 0
শুভ জন্মদিন
Total Reply(0)
Shamsul Haq Shareq ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৪ এএম says : 0
মহান আল্লাহ পাক ওনাকে হায়াতে তাইয়েবা দান করুন। আমিন।
Total Reply(0)
MD Khurshed Alam ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৫ এএম says : 0
স্যারের জন্য দোয়া ও সুস্থতা কামনা করছি।
Total Reply(0)
Abidur Rahim ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৫ এএম says : 0
ভাষার মাসে আমাদের মাঝে থাকা ভাষা সৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুরের প্রতি জন্মদিনের শ্রদ্ধা!
Total Reply(0)
Mulla Tashfin ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৬ এএম says : 0
May SWT give him long life.Could you let me how I can get his written some books
Total Reply(0)
Md. Naimul Islam ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৬ এএম says : 0
অধ্যাপক আবদুল গফুর আমাদের জাতীয় মণীষা। তাকে আগামী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
Total Reply(0)
মাওলানা শহীদুল ইসলাম ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৬ এএম says : 0
নীতি, আদর্শ, সততা, নির্লোভ জীবনযাপন ও বিশ্বাসের বিমূর্ত প্রতীক অধ্যাপক আবদুল গফুর। তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা উচিত।
Total Reply(0)
Jahidul Islam ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৬ এএম says : 0
অধ্যাপক আবদুল গফুর শুধু বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্যই নয়, বাঙালি মুসলমানদের সংস্কৃতি বিনির্মাণে সারাজীবন কাজ করে গেছেন তমদ্দুন মজলিসের মাধ্যমে।
Total Reply(0)
হুসাইন আহমেদ হেলাল ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৬ এএম says : 0
স্যার বাংলাদেশের সম্পদ। তিনি বেঁচে থাকতেই উপযুক্ত সম্মান দিতে না পারলে জাতি হিসেবে তা হবে চরম লজ্জার। স্যারকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হোক।
Total Reply(0)
Masoom Khan ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৮ এএম says : 0
এমন আলোকিত আদর্শ মানুষ আর কজনই বা আছে আমাদের মাঝে? এই প্রিয় আদর্শ মানুষটির সাহচর্যে আসার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। তিনি আমার প্রিয় গফুর ভাই।তমদ্দুন মজলিসের সাথে জড়িত হওয়ার সুবাদে তাঁর ঘণিষ্ঠতায় আসতে পেরেছি।এক কথায় গফুর ভাই আমার চলার পথে একজন আদর্শবান ব্যক্তিত্ব। গফুর ভাইর সুস্থ সুন্দর দীর্ঘায়ু জীবন কামনা করছি।
Total Reply(0)
Md.Rashadujaman ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৯ এএম says : 0
দেশ ও সরকার তাকে মূল্যা্য়ন না করতে পারলে সেটা তাদের ব্যর্থতা। তবে আমরা মনে করি স্যারকে আমাদের মতো সাধারণ পাঠকরা অবশ্যই মূল্যায়ন করে। তার মতো ব্যক্তির বড়ই অভাব জাতি অনুভব করছে।
Total Reply(0)
Abul Kalam Azad ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৫:০০ এএম says : 0
স্যার জন্য শুভকামনা। এবং ইনকিলাব এর সকল কলাকুশলীর জন্য শুভেচ্ছা।
Total Reply(0)
মোঃ আব্দুল মাজেদ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৫৪ এএম says : 0
আল্লাহ ওনাকে মঙ্গলময় দীর্ঘ হায়াত দান করুন।
Total Reply(0)
Md. Kawsar Ahammed ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:১৭ পিএম says : 0
We hope like that
Total Reply(0)
হাসান সোহাগ ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:১৮ পিএম says : 0
আল্লাহ তাকে সুস্থতার সাথে দীর্ঘ নেক হায়াত দান করুক
Total Reply(0)
রোমান ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:১৯ পিএম says : 0
আমরা জাতী হিসেবে কত অভাগা যে, এরকম একজন গুনী মানুষকে যথাযথ মুল্যায়ন করতে পারছি না
Total Reply(0)
নুরজাহান ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২১ পিএম says : 0
১৯৪৭ সালে সাংবাদিকতা শুরু করা অধ্যাপক আবদুল গফুর একমাত্র ব্যক্তি যিনি এখনো এই পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন এবং তার লেখনীর মাধ্যমে সর্বদা দেশকে দিয়ে যাচ্ছেন সঠিক পথের দিশা। তিনি আমাদের প্রেরণার বাতিঘর
Total Reply(0)
হাবীব ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:৫২ পিএম says : 0
স্যারের ছবি দেখে খুব ভালো লাগছে
Total Reply(0)
জাফর ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৩:৫৩ পিএম says : 0
এমন গুনী মানুষ হয়তো দেশ আর কখনও পাবে না
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন