ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান বলেছেন, জার্মানি সন্ত্রাসীদের লালন পালনের স্বর্গে পরিণত হয়েছে, আর ইতিহাসই এর বিচার করবে। এরদোগান অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বিদ্রোহীদের আশ্রয় দিচ্ছে জার্মানি। তিনদশক ধরে তুরস্কের কুর্দি অধ্যুষিত অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পিকেকে সশস্ত্র লড়াই চালাচ্ছে আর কট্টর বামপন্থি ডিএইচকেপি-সি তুরস্কে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক অনুষ্ঠানে এরদোগান আরো বলেন, জার্মানির কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ইতিহাসে আপনার (জার্মানি) বিচার হবে। জার্মানি সন্ত্রাসীদের গুরুত্বপূর্ণ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। জার্মানি পিকেকে এবং ডিএইচকেপি-সি গোষ্ঠীগুলোকে দীর্ঘদিন ধরেই সুরক্ষা দিয়ে আসছে, গুলেনপন্থি সন্ত্রাসী সংগঠনেরও আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। আমাদের উদ্বেগের কারণ এটাইÑ উল্লেখ করেন এরদোগান। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কে হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর অ্যাকসেস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত শুক্রবার টার্কি ব্লকস নামের দেশটির একটি ইন্টারনেট পর্যবেক্ষক দল জানায়, ১১ জন কুর্দিপন্থি আইনপ্রণেতাকে আটকের জের ধরে এমনটা করা হয়েছে। থ্রোটলিংয়ের মাধ্যমে এই অ্যাকসেস বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পর্যবেক্ষক দলের একজন বিশেষজ্ঞ। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় নেটের গতি কমিয়ে দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার ব্যাহত করার প্রক্রিয়াকে থ্রোটলিং বলা হয়। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার বন্ধ করে দেয়া যায়। প্রসঙ্গত, তুরস্কে গত জুলাইয়ে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে থাকা তুর্কি ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করে আসছেন এরদোগান। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন