কুষ্টিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৭ টন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডারবাহী একটি ট্রাক আড়াআড়িভাবে মহাসড়কে পড়ে আছে। এতে দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা ধরে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। চরম দুর্ভোগে পড়েছে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের ৩২ জেলার যাতায়াতকারী মানুষ।
গত রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সিলিন্ডারবাহী ট্রাক আড়াআড়িভাবে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে উল্টে যায়। গতকাল সোমবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলিন্ডরাবাহী ট্রাকটি সরানো হয়নি। এ ব্যাপারে সরাসরি কেউ কথা না বললেও পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, জীবনের ভয়ে কেউই উল্টে যাওয়া ট্রাকের কাছে যেতে চাইছে না। সবার আশঙ্কা যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। গতকাল সোমবার রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে।
মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে বড় সিলিন্ডারবাহী ১০ চাকার একটি ট্রাক প্রায় ১৭ টন এলপিজি নিয়ে নাটোর যাচ্ছিল। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মিরপুর বহলবাড়িয়া এলাকায় ভাঙাচোরা সড়কে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সড়কের ওপর উল্টে যায়। আড়াআড়িভাবে পড়ে থাকায় উভয় দিক থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজটের। এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৩২ জেলার মানুষ যাতায়াত করে।
গ্যাসভর্তি ভারী সিলিন্ডার হওয়ায় সেটি স্থানীয়ভাবে সরানো সম্ভব হয়নি। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম পাবনা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে একটি দল ঘটনাস্থলে পাঠান। রাশিয়ান ওই দল এসে গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার সরানোর বিষয়ে ঝুঁঁকির কথা জানিয়ে চলে যায়। সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ হতে পারে, এ জন্য তারা ঝুঁঁকি নিতে চাননি।
এদিকে মহাসড়ক বন্ধ থাকায় উভয় পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এলাকার বিভিন্ন বিকল্প ছোট রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করছে। এতে সরু সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে কয়েক জায়গা ভেঙে গেছে।
হাইওয়ে থানার ওসি ইদ্রিস আলী বলেন, সিলিন্ডার সরানোর জন্য স্থানীয়ভাবে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিস্ফোরণ হলে যাতে ক্ষতি না হয়, সে জন্য উভয় পাশে বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। তবে কখন সড়ক স্বাভাবিক হবে, তা তিনি বলতে পারেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন