৩ জেলে ১৫ ট্রলার নিখোঁজ
শরণখোলা ও পাথরঘাটা উপজেলা সংবাদদাতা : বঙ্গোপসাগরে নি¤œচাপের প্রভাবে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে গতকাল শনিবার দুপুরে ৯০ জেলেসহ ৬টি ফিশিং ট্রলার ডুবে গেছে। ঘটনায় ৩ জেলে ও ১৫টি ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
পাথরঘাটা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, শনিবার দুপুরে ফেয়ারওয়ে বয়ার অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরারত ফিশিং ট্রলার বহর নি¤œচাপের কারণে সৃষ্ট ঝড় ও প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে ৬টি ট্রলার সাগরে ডুবে যায়। ট্রলারগুলো হচ্ছে বরগুনার জেলার পাথরঘাটার জ্ঞানপাড়ার কাওসার মিয়ার ট্রলার, গুলিশাখালী এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার এফবি ভাইভাই, মহিপুরের গর্জনবুনিয়ার আলমগীর মিয়ার ফিশিং ট্রলার, একই এলাকার নাছির পহলানের এফবি নাজমুল ইসলাম, ফোরকান মাঝির এফবি মা বাবার দোয়া, কুয়াকাটার খাজুরা গ্রামের কাদের মাঝির এফবি শুকতারা। এসব ট্রলারের প্রায় ৯০ জন জেলে সাগরে পড়ে গেলে অন্যান্য ট্রলারের জেলেরা ৮৭ জেলেকে উদ্ধার করেছে। তবে ১৫টি ট্রলারসহ ৩ জেলের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। তবে নিখোঁজ ৩ জেলের নাম ও ঠিকানা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
কুয়াকাটা-আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা মুঠোফোনে তার এলাকার এফবি শুকতারা ট্রলার ডুবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে সাগরে অসংখ্য ফিসিং ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। এর মধ্যে কুয়াকাটার ইউসুফ মিয়ার এফবি নুর বানু, আবুল হোসেনের এফবি আল রোমান, রতন মিয়ার এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পেরেছেন।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আঃ মান্নান জানান, ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে পাথরঘাটা, বরগুনা, মহিপুর, আলীপুর, শরণখোলাসহ বিভিন্ন এলাকার অনেক ট্রলারের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ সব ট্রলারের সাথে মোবাইল ফোনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে ট্রলার মালিক ও জেলেদের স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন