স্টাফ রিপোর্টার : ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, জঙ্গিদের কাছে অস্ত্র ও ডেটোনেটর সরবরাহকারীদের বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে । তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু জানানো যাচ্ছে না। আরও তথ্যের জন্য প্রয়োজনে বার বার গ্রেফতারদের রিমান্ডে নেয়া হবে। পুরো বিষয়টাই তদন্তাধীন। তিনি আরো বলেন, নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে বিএনপির আবেদন এখনও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) অর্থাৎ আমরা পাইনি।
গতকাল শনিবার সকালে মিরপুর পুলিশ লাইনসে নতুন ২০ সোয়াত সদস্যের মাঝে সনদ বিতরণী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর মিরপুর পুলিশ লাইন্সে স্থাপিত সোয়াট ট্রেনিং সেন্টারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৮ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশের আবেদনপত্র পুলিশের কাছে এখনো পৌঁছায়নি। আবেদনের প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, সোয়াট এখন একটি ব্রান্ড হিসেবে জাতির কাছে পরিচিত। আমাদের সোয়াট সদস্যদের ৫০ জন সদস্য ইতোমধ্যে আমেরিকা থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। সোয়াটের সব ইক্যুইপমেন্টই অত্যাধুনিক। যা আমেরিকা থেকে আনা হয়েছে। বাংলার মাটিতে কোনো জঙ্গির অবস্থান হবে না। যে কোনো মূল্যে জঙ্গিবাদকে নির্মূল করা হবে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, তিনি কোনো আবেদন পাননি। যদি আবেদনপত্র পান, তাহলে কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবেদন পেলে নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ।
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান-পাল্টা অভ্যুত্থানের জটিল ঘটনাপ্রবাহে কয়েকশ’ সেনা কর্মকর্তা হত্যার পর ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। পরে তিনি সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপতি হন। পরে ক্ষমতায় থেকেই গঠন করেন তার দল বিএনপি। এই দিনটিকে বিএনপি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ একে পালন করে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস হিসেবে। এই দিন বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দিলেও আওয়ামী লীগ কাউকে সেদিন জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই অবস্থায় বিএনপির পাশাপাশি আরও কয়েকটি সংগঠনও ৭ ও ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ চেয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করে। আর পুলিশ কাউকেই এই দুই দিন মাঠের বরাদ্দ না দেয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর ৮ নভেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। কিন্তু ডিএমপি কমিশনার এখন পর্যন্ত সে আবেদন না পাওয়ার কথা জানানোয় নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাওয়াই এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত হয়ে রইলো।
আগামী ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান না পেয়ে ৮ নভেম্বর নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে বিএনপি। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক সভায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা জানান।
৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। ৭ নভেম্বর না হলেও যে ৮ নভেম্বর অনুমতি দেয়া হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে সে আবেদনও করে দলটি। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোহরাওয়ার্দীতে ৭ ও ৮ নভেম্বর সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না।
এ অবস্থায় বিএনপি বিকল্প স্থানে সমাবেশের কথা ভাবে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, বিকল্প স্থানে সমাবেশের জন্য অনুমতি চাইবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন