কর্পোরেট ডেস্ক : স্মরণকালের ভয়াবহ ভ‚মিকম্পের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারতের নানামুখী প্রতিবন্ধকতা সত্যেও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে হিমালয় কন্যা নেপালের অর্থনীতি। বিশেষ করে পর্যটন নির্ভর এ দেশটিতে আবারো ফিরছে পর্যটকরা। গত বছর ভ‚মিকম্পের পর পর্যটকের সংখ্যা অনেকটা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল। তবে চলতি বছরের প্রথম দশ মাসেই পর্যটক এসেছে পাঁচ লাখের বেশি। সার্কভুক্ত দেশ নেপালের পুরো অর্থনীতি পর্যটন নির্ভর। দেশটির মূল জিডিপি’র বিশাল অংশ অর্জন হয় পর্যটন খাত থেকে। কিন্তু গত বছরের ২৫ এপ্রিল ৭ দশমিক ৯ মাত্রার ভয়াবহ ভ‚মিকম্পে পুরো চিত্রই পাল্টে যায় নেপালের। ধ্বংসস্ত‚পে পরিণত হয় প্রাচীন সব মন্দির এবং স্থাপনা। অথচ শত শত বছরের পুরাতন এসব স্থাপনার আকর্ষণেই পর্যটকরা ছুটে আসে নেপালে। ২০১৪ সালে যেখানে পর্যটক এসেছিলো আট লাখ, গত বছর তা একেবারেই তলানীতে ঠেকে। ভ‚মিকম্পের পরপরই নেপাল অনেক ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তারপরও ২০১৭ সালের মধ্যে পুরোপুরি ক্ষতি কাটিয়ে নেপালকে পুরোপুরি পর্যটক বান্ধব করে তোলার চেষ্টা করছে সরকার। ভ‚মিকম্পের পর নতুন করে রাজনৈতিক সমস্যায় পড়ে নেপাল। নানামুখী জটিলতার কারণে প্রতিবেশী ভারতের সাথে সম্পর্কে টানাপোড়ন দেখা দেয়। ভারত জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিলে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পর্যটন খাতসহ দেশের অর্থনীতি। নেপালের পর্যটক শিল্প একেবারে বিপাকে পড়েছে এবং নানা প্রতিবন্ধকতায় অর্থনীতিও ভেঙে পড়লেও তবুও তারা ঘুরে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর।’ তবে চলতি বছর থেকে পর্যটকরা আবারো নেপালমুখী হয়েছে। ভয়াবহ ভ‚মিকম্পে দরবার চত্বর, হনুমান ধোঁকাসহ আশপাশের কিছু মন্দির নিশ্চিহ্ন হলেও বাকিগুলোকে সংস্কার ও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। নেপালে ঘুরতে আসা কিছু বিদেশি পর্যটক বলেন, ‘ভ‚মিকম্পে এখানকার মন্দিরে ফাটোল ধরলেও এখনও তা একটি দশর্নীয় স্থান। খুব আকর্ষণীয় একটি জায়গা নেপাল এখানকার পুরাণো মন্দির বা স্থাপনাগুলো এর কারুকাজগুলো সত্যিই অনন্য। ১ লাখ ৪৭ হাজার বর্গকিলোমিটারের এ নেপালকে ঘিরে রয়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টসহ আটটি পর্বত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন