বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ভাষাশহীদরাই মুক্তিসংগ্রামের অনুপ্রেরণা

মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২১ এএম

ভাষা আন্দোলনের শহীদরাই ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। তারাই মুক্তিসংগ্রামের ক্ষেত্র তৈরি করেছেন। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই সকল আন্দোলন-সংগ্রামের ডালপালা গজিয়েছিল। এজন্য ভাষা আন্দোলন বাঙালির ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলনই মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার।’ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বক্তারা। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ভাষা আন্দোলন আমাদের সকল অনুপ্রেরণার উৎস। ভাষা আন্দোলনই আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে প্রতিরোধ করতে হয়, কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন ঢেলে দিতে হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি একটা সময় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ব্যাপকভাবে বিকৃত করা হয়েছে। একুশকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু একুশের আগেও যে ভাষা আন্দোলন হয়েছে, সংগ্রাম হয়েছে- সেটিকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে লুকিয়ে রাখতেই এটি করা হয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা বাংলাকে গভীরভাবে অপছন্দ করতো। তারা তাদের হীনমন্যতার কারণেই এটি করতো। কারণ ভাষা হচ্ছে সাংস্কৃতির আধার। এটিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারলেই সাংস্কৃতি বাধাগ্রস্ত হবে। সেই চিন্তা থেকেই তারা এটি করেছে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষা নিশ্চিতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শিক্ষা যে কতমুখি তার শেষ নেই। ভাষা শেখার গোড়াতেই গলদ। আমরা এখন ভাষাটাকে রপ্ত করতে চেষ্টা করছি। একমুখি শিক্ষা চালুর চেষ্টা করছি নতুন কারিকুলামে। যে যে মাধ্যমে পড়ুক সবাই যেন একটি জায়গা পর্যন্ত একই ধারার শিক্ষা লাভ করতে পারি সে চেষ্টা করছি।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, পাকিস্তান-ভারত সৃষ্টির সঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টির রাজনৈতিক ইতিহাস ভিন্ন। বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছে সাংস্কৃতিক আলোড়ন, লড়াই সংগ্রামের মধ্যদিয়ে। বঙ্গবন্ধুর সেই সাংস্কৃতিক জাগরণ, রাজনৈতিক লড়াই- অতঃপর সমাজ গঠনের জায়গায় দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষণা করেছিলেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভিসি বলেন, তোমাদের দ্বারা মাতৃভাষা যেন আরও শুদ্ধ হয়। তোমাদের দ্বারা আমাদের আগামী দিনের লেখক, কবি, সাহিত্যিক যেন সৃষ্টি হয়। এই প্রযুক্তির যুগে তুমি সবকিছু করবে। কিন্তু মাতৃভাষার মর্যাদাকে সুউচ্চ রাখতে, ওই ভাষা লিখতে, পড়তে, বলতে তার শুদ্ধ উচ্চারণে হতে হবে আপোষহীন। প্রিয় মাতৃভূমিকে যদি আরও ভালোবাসতে পারি, মা, মাটি, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমি এটি আরও শুদ্ধ হয়, ক্ষতি হয় তবেই তুমি বিশ্ব নাগরিক হবে। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুড়িগ্রাম ল’ কলেজের প্রিন্সিপাল এস মে আব্রাহাম লিংকন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন