সাউদী দূতাবাসসহ বিভিন্ন দূতাবাস ও বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি দেয়ার নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এজন্য চক্রটি আরএস এন্টারপ্রাইজ নামে অফিস খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোভনীয় চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিতো। কেউ তাদের ফাঁদে পা দিয়ে যোগাযোগ করলে হাতিয়ে নেয়া হতো লঅখ লাখ টাকা। বিশ্বস্ততা অর্জনে চাকরি প্রার্থীর টাকা নেয়ার সময় নিজেদের চেক বই জমা রাখতো প্রতারকরা। এ চক্রের মূলহোতা রবি পল গমেজকে (৫৩) গ্রেফতারের পরে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাটারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবি পলকে গ্রেফতার করা হয়। সে নাটোরের বড়াইগ্রামের শ্রীখণ্ডীর লাফন গমেজের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার সিআইডির (ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ) বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহম্মদ কামরুজ্জামান জানান, সাউদী দূতাবাসসহ বিভিন্ন সংস্থায় চাকরি দেয়ার নাম করে একটি চক্র সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ চক্রের মূলহোতা রবি পল গমেজ ও তার সহযোগীরা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন নূরের চালা এলাকায় আরএস এন্টারপ্রাইজ নামক অফিস দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন পদে লোভনীয় বেতনে চাকরি দেয়ার বিষয়টি প্রচার করে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন।
চক্রটি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার ধানকী মহেড়া এলাকার ভুক্তভোগী মো. হাসেম মিয়াকে (৩২) সাউদী দূতাবাসে চাকরি দেয়ার নাম করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। পাশাপাশি আরো প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জনের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারণার শিকার হয়ে ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করেন হাশেম মিয়া। পরে রবি পলকে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি প্রতারণার কৌশল হিসেবে বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ভিকটিমদের টাকার বিপরীতে তাদের ব্যাংকের চেক দিয়ে থাকে। পরবর্তীতে তারা কাউকে কোনো চাকরির ব্যবস্থা না করে অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যায়। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান মোহম্মদ কামরুজ্জামান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন