রেলের টেন্ডারবাজিতে সিআরবি প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে জোড়া খুনের মামলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৬৩ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ জোড়া খুনের প্রায় সাড়ে ৮ বছর পর গতকাল সোমবার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসীম উদ্দিনের আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত ৬৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা সাইফুল আলম লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ৫৪ জন আসামি। আগামী ২৫ মে থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।
২০১৩ সালের ২৪ জুন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর সিআরবি এলাকায় ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের টেন্ডার নিয়ে যুবলীগের বাবর ও ছাত্রলীগের লিমন পক্ষের বিরোধের জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৪) ও সিআরবি বস্তির শিশু মাদরাসা ছাত্র আরমান (৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সাজু পালিত ছিলেন বাবরের অনুসারী।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পর কোতোয়ালী থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদি হয়ে ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনার এক মাস পর নিহত সাজু পালিতের মা মিনতি পালিত বাদি হয়ে অজিতকে প্রধান আসামি করে চার জনের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা করেন। এ দুটি মামলা একসাথে তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
দুই দফা তদন্ত কর্মকর্তা বদলের পর ২০১৫ সালের ২০ নভেম্বর প্রথম অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এতে ৬২ জনকে আসামিক এবং ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছিল। এর দুই দিন পর মহানগর হাকিম আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে।
২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে ৬৪ জনকে আসামি ও ১৭ জনকে সাক্ষী করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযুক্তরা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী। অভিযুক্ত অমিত মুহুরী মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে ৬৩ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন