স্টাফ রিপোর্টার :৭ নভেম্বর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। গতকাল (রোববার) সংগঠনটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাতি সেদিন সত্যিকার অর্থে মুক্তি লাভ করেছিল। সংগঠনটির ৬২৫ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়- ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহী-জনতার মিলিত বিপ্লবে নস্যাৎ হয়ে যায় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী ষড়যন্ত্র। আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। এদিন সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঢাকা সেনানিবাসের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে। ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বরে সামরিক এবং বেসামরিক জনগণ একত্রে স্বতস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আনন্দ মিছিলে যোগ দিয়েছিল। সেদিন সিপাহী-জনতা এক কাতারে মিশেছিল। কিশোর, তরুণ, যুবক-সামরিক, বেসামরিক কোনো ভেদাভেদ ছিল না। সিপাহীগণ তাদের সামরিক বাহন এবং সাঁজোয়া যানে সাধারণ মানুষকে হাত বাড়িয়ে তুলে নিয়েছিল। এমন অভূতপূর্ব এবং অভাবনীয় ঘটনা প্রবাহ আজ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে আর ঘটেনি।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেনÑ ইউট্যাবের সহ সভাপতি প্রফেসর ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. খলিলুর রহমান, ড. ফরিদ আহমেদ, প্রফেসর আমিনুল ইসলাম মজুমদার, প্রফেসর সৈয়দ আবুল কালাম আযাদ, প্রফেসর এম ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. গোলাম রব্বানী, ড. মাহফুজুল হক, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. আবুল হাসনাত, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট) প্রমুখ।
বিবৃতিতে শিক্ষকেরা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এক বিপন্ন সময়ে জিয়াউর রহমানের কন্ঠস্বর বিভ্রান্ত জাতিকে পথ দেখিয়েছে। দৃঢ়চিত্তে হানাদার বাহিনীকে মোকাবিলা করেছে। সেই জিয়াউর রহমানের ভাষণ আবার জনগণকে বিভ্রান্তি এবং অনিশ্চয়তা থেকে আশার আলো দেখায় ৭ নভেম্বরে। জনগণ উপলব্ধি করতে পারে, দেশের শাসনভার এখন একজন দেশপ্রেমী, মুক্তিযোদ্ধা, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল ব্যক্তির হাতে। স্বাধীনতার স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্ন নয়। দেশ আজ সত্যিকারের স্বাধীন সার্বভৌম। দুর্নীতি, অপশাসন এবং জুলুম থেকে মুক্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন