শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গণতন্ত্র রক্ষা অত্যন্ত জরুরি সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়েছে খালেদা জিয়া

প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বিদেশি শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত হওয়া শিখ-ী সরকারের নতজানু নীতির কারণে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এ মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।
গতকাল রোববার ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া অভিযোগ করে বলেন, গোপন চুক্তির মাধ্যমে আমাদের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রভুত্ব কায়েমের বেপরোয়া কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ভোটারবিহীন সরকারের নতজানু নীতির কারণেই আমাদের আবহমানকালের কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর চলছে বাধাহীন আগ্রাসন। তিনি বলেন, এ সরকার জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখলে নিয়ে বসে আছে। তারা গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতাকর্মীদের বীভৎস নির্মমতায় দমন করছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে নির্দয় ফ্যাসিবাদী শাসনের যাঁতাকলে পৈশাচিকভাবে পিষ্ট করছে। ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনে এক ঐতিহাসিক দিন উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ১৯৭৫ সালের এইদিনে সৈনিক-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্য।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, তৎকালীন বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকারগুলোকে হরণ করে। দেশমাতৃকার এ চরম সঙ্কটকালের ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। এ অরাজক পরিস্থিতিতে ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং জিয়াউর রহমান মুক্ত হন। পট পরিবর্তনে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী হয়। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়, দেশের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশি শক্তির এদেশীয় অনুচররা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে হত্যা করে। তিনি শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনো দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য দেশের সকল নাগরিককে আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
অপর এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দিবসটি উপলক্ষে দেশবাসী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। মহাসচিব বলেন, ৭৫-এর ৭ নভেম্বর সৈনিক-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে আমাদের মাতৃভূমি স্বাধীন অস্তিত্ব লাভ করে এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা নিশ্চিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন