এপিবিএন সদস্যসহ আরো ৫ জন আহত : গুলিবিদ্ধ হামলাকারী গ্রেফতার
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে গতকাল সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে সোহাগ আলী নামে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো চার আসসার ও একজন এপিবিএন সদস্যসহ ৫ জন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। হামলাকারি সন্ত্রাসী যুবককে গুলিবিদ্ধ গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার সঠিক কারন জানা যায়নি। তবে স্থানীয় একটি সূত্র বলেছে, পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সঙ্গে অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। নিñিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সংরক্ষিত ও স্পর্শকাতর বিমান বন্দর এলাকায় এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সেখানে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকের মনে বিমান বন্দরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিমান বন্দরে এপিবিএনের পুলিশ সুপার তানজিনা আক্তার বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরে বিমানবন্দরের পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা এ কে ট্রেডার্সের এক কর্মী ছুরি নিয়ে বহিঃর্গমন লাউঞ্জের তিন নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় আনসার সদস্যরা তাকে বাধা দিলে সে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে আনসার কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে আনসার সদস্য সোহাগ মারা যায়। নিহত সোহাগের বাড়ি সিরাজগঞ্জে বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় আরো আহত হয়েছেন, আনসার সদস্য জিয়াউল, ফজলু, শিপন, ইশতিয়াক এবং এপিবিএন সদস্য আশিক। অতর্র্কিত এ হামলার সময় হামলাকারি যুবককে গুলি করে সেখানের কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনির সদস্যরা। পুলিশ প্রহরায় তাকেও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আনসার সদস্য জিয়াউলকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়া বলেন, এক যুবকের হামলায় আনসারের চার সদস্য আহত হয়েছেন। পরে ওই যুবক আনসারের গুলিতে আহত হয়ে ধরা পড়েছেন।
এদিকে প্রাথমিকভাবে হামলাকারি যুবকের নাম শিহাব এবং তিনি সেখানের একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী বলে জানা গেছে। শাহজালালের আনসারের ইনচার্জ কাঞ্চন ব্যানার্জী বলেন, আমাদের এক সদস্য ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন। তার লাশ কুর্মিটোলায় রাখা হয়েছে।
এ ঘটনার পর পুরো বিমানবন্দর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক কিরাজ করে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ-র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন