শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

এলপিজির দাম আবারো বাড়ল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০২২, ১২:০২ এএম

প্রতিকেজি এলপিজির দাম ১২ টাকা ৫৪ পয়সা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন এই দাম ঘোষণা করে। এতে করে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৪০ টাকা থেকে বেড়ে এখন ১ হাজার ৩৯০ টাকা দশমিক ৫৬ পয়সা করা হয়েছে। এ হিসাবে সিলিন্ডার প্রতি দাম বাড়লো ১৫০ টাকা ৫৬ পয়সা।

নতুন নির্ধারিত দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর করা হয়েছে। অনলাইনে বিইআরসি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই দাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব আবু সায়িদ, সদস্য মকবুল ই ইলাহিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য প্রতিকেজি এলপিজি ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা করেছিল কমিশন। সে সময় ১২ কেজির দাম ১ হাজার ১৭৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ২৪০ টাকা করা হয়।
রাশিয়া- ইউক্রেন সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এর প্রভাবে জ্বালানি তেলে, এলএনজি ও এলপিজির দাম বেড়েই যাচ্ছে। তারই প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও। এর আগে জানুয়ারি মাসে অবশ্য এলপিজির দাম কমানো হয়েছিল। জানুয়ারি মাসের জন্য প্রতিকেজি এলপিজি ১০২ টাকা ৩২ পয়সা থেকে কমিয়ে ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা করা হয়। সে সময় সিলিন্ডারপ্রতি কমানো হয় ৫০ টাকা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও কমানো হয়েছে। প্রতিকেজি ১০০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ১১২ টাকা ৬৫ পয়সা করা হয়েছে।

একইসঙ্গে কমেছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দামও, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। মার্চ মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৭৮ পয়সা করা হয়েছে, যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫৭ টাকা ৮১ পয়সা। লিটারে বেড়েছে প্রায় ৬ টাকা ৯৭ পয়সা।

সউদী সিপি অনুসারে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতি টন ৮৯৫ এবং ৯২০ ডলারে উঠেছে। যা গতমাসে ছিল ৭৭৫ ডলার। প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫: ৬৫ বিবেচনায় মার্চ মাসের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। শুধু ১২ কেজি নয়, সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই বাড়ানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সউদী আরবের প্রতিষ্ঠান সউদী আরামকো। এটি সউদী কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সউদী সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। প্রস্তাব পর্যালোচনা করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে গত সেপ্টেম্বরে আবার গণশুনানি করে কিছু সংশোধনী আনে কমিশন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন