কর্পোরেট রিপোর্টার : স্বল্প মূলধনী কোম্পানি নিয়ে পৃথক মার্কেট ডিসেম্বরেই। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃপক্ষ স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলো পৃথক বোর্ড বা প্লাট ফরম গঠনের এ উদ্যোগ নিয়েছে। চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যে এই মার্কেট গঠনের চূডান্ত কাজ শুরু হবে। ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজার আরও শক্তিশালী করার জন্য ছোট মূলধনী কোম্পানি নিয়ে ভিন্ন বাজার তৈরি করা জরুরি। আমার জানা মতে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বিএসইসি কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ বিনিরেয়াগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ মার্কেটের গুরুত্ব অনেক। আলাদা মার্কেট তৈরি হলে কেউ আর মূল মার্কেটে স্বল্প পুঁজির কোম্পানি নিয়ে কারসাজি করতে পারবে না। আলাদা মার্কেট গঠিত হলে সবাই বুঝতে ওই মার্কেটে কি ধরনের কোম্পানি রয়েছে। অর্থাৎ সবাই বুঝেশুনে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বিএসইসিতে যোগাযোগ করা হলে সাইফুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের স্বার্থে এ মার্কেটের ভূমিকা অনেক। আমরা এ মার্কেট নিয়ে কাজ করছি। আশা করা যায় আমরা যথা সময়ে এ মার্কেট গঠনের কাজ শেষ করতে পারব। বিএসইসি সূত্রে জানাগেছে, খুব শীঘ্র স্বল্প পুঁজির মার্কেট গঠনের বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এর পরপরই শুরু হবে মার্কেট গঠনের কাজ। স্বল্প মূলধনী কোম্পানিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত করতে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও) নীতিমালা ২০১৬-এর খসড়া অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ নীতিমালায় বলা হয়েছে, পাঁচ কোটি টাকা কমের স্বল্প মূলধনী কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারবে না। এর আগে ২০ ফেব্রæয়ারি স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য ‘স্মল ক্যাপ বোর্ড’ নামে নতুন বাজার গঠনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। বিএসইসির ওই অনুমোদন অনুযায়ী, স্বল্প মূলধনী কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন