জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬ তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এ অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে। এতে এশিয়া ও প্যাসিফিকভুক্ত ৪৬টি দেশের কৃষিমন্ত্রী, কৃষি সচিব ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, এফএওর সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করছে। আজ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত সম্মেলন চলবে, এটি বাংলাদেশের জন্য গৌরবের। করোনার কারণে এবার হাইব্রিড ফরম্যাটে (সরাসরি ও ভার্চুয়াল) এই সম্মেলন হবে। এতে অংশ নিতে এরই মধ্যে ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র, এফএওর মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির ৯০০ জন প্রতিনিধি নিবন্ধন করেছেন। সম্মেলনে সদস্য দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন সম্মানিত সদস্যও অংশ নেবেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এফএওর সদস্য হয়। ১৯৫৩ সালে ভারতের বেঙ্গালুরুতে প্রথম আঞ্চলিক সম্মেলন হয়েছিল। এবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সম্মেলনের মূল অধিবেশন ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও কান্ট্রি শোকেসিং হবে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষির বর্তমান অবস্থা, জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয়, অ্যাগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার চিহ্নিতকরণ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত বিনিয়োগ নিয়ে এবারের সম্মেলনে আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সম্মেলনের প্রথম দুদিন আজ ও ৯ মার্চ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কৃষি সচিব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সভা। শেষ দুদিন ১০ ও ১১ মার্চ কৃষিমন্ত্রী পর্যায়ের সভা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে। ১০ মার্চ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৭টি স্টলে কান্ট্রি শোকেসিং করা হবে। এফএওর মহাপরিচালক ৯ মার্চ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এবং আগামী ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
রাজ্জাক বলেন, এ সম্মেলনটিকে সফলভাবে আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে চাই, যাতে করে ভবিষ্যতে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশে সম্মেলন আয়োজনে আগ্রহী হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন