শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিদেশে কর্মরত নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে

ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০২২, ১২:১২ এএম

বাংলাদেশের ১০ লাখ নারীকর্মী এখন বিদেশে কাজ করে। প্রতিবছর নারীর কর্মসংস্থান বাড়লেও সুরক্ষা ব্যবস্থা এখনও যথেষ্ট উন্নত নয়। কাজেই সুরক্ষা ব্যবস্থায় জোর দিতে হবে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে। প্রয়োজনে সেখানকার দূতাবাসে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সম্মিলিতভাবে নারী কর্মীদের সুরক্ষা দিতে হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সামনে রেখে গতকাল সোমবার ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের মহাসচিব মাহজাবিন খালেদ বলেন, অভিবাসন বিষয়ক তথ্য তৃণমূল পর্যায়ে এখনও সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে না। এক্ষেত্রে সবাই মিলে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ফেরত আসা নারীকর্মীদের পুনর্বাসন নিয়ে সম্বিলিতভাবে কাজ করতে হবে। দূতাবাসগুলোতে নারী কর্মকর্তা দিতে হবে, যাতে নারী অভিবাসী কর্মীরা সহজে তাদের কথা জানাতে পারেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়েল ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক মুশাররাত জেবীন বলেন, বিদেশে যেসব নারী সমস্যায় আছেন কেন তারা সমস্যায় আছেন, সমাধান কী, সেগুলো তাদের কাছ থেকে জেনে কাজ করতে হবে। সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বিদেশ ফেরত নারীদের জন্য নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মির্জা শাকিলা দিল হাছিন বলেন, সরকারের যেসব নীতিমালা আছে, যেসব উদ্যোগ আছে, সেগুলো অনেকেই জানেন না। এসব উদ্যোগ সবাইকে জানাতে হবে ও বাস্তবায়ন করতে হবে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ঢাকার সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, প্রশিক্ষণের বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। ইউএন উইমেনের কর্মকর্তা তপতি সাহা বলেন, নারী অভিবাসী কর্মীদের শুধু গৃহকর্মী হিসেবে না পাঠিয়ে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রে যুক্ত করতে হবে।
সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাজিয়া হায়দার বলেন, অভিবাসন খাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমান ভূমিকা রাখলেও তাদের সমমর্যাদা প্রদান করা হয় না। নারী অভিবাসন খরচ পুরুষদের তুলনায় তুলনামূলক কম এবং রেমিট্যান্সের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতে পুরুষদের থেকে নারীরা এগিয়ে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচি প্রধান শরিফুল হাসান। তিনি বলেন, বর্তমানে ১০ লাখ নারী বিদেশে কাজ করছেন। নারীর অভিবাসন ক্রমেই বাড়ছে। আবার বিদেশ থেকে অনেক নারী ফিরছেন। কোভিডকালে অন্তত ৫০ হাজার নারী ফিরেছেন। একদিকে যেমন নারীর বিদেশে যাওয়া নিরাপদ করতে হবে, আরেক দিকে তাদের সুরক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন