সরকার দেশে বাকশাল কায়েম করেছে - ডা. শাহাদাত
চট্টগ্রাম ব্যুরো : পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে চট্টগ্রামে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে বিএনপি। সকালে নগরীর ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করতে বাধ্য হয় তারা। এরপর বিকেলে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় চত্বরে সমাবেশ করতে গিয়েও পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বিএনপি। নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে দেয়নি পুলিশ।
তবে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সমাবেশে যোগ দেয় নেতাকর্মীরা। দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে বিশাল সমাবেশ করে বিএনপি। এ সময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ পুরো এলাকা ঘেরাও করে রাখে। সমাবেশ শেষ করে মিছিল করতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে নিরবে সমাবেশ স্থল ছেড়ে যায় নেতাকর্মীরা। বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করতে নগরীর লালদীঘি মাঠ, জেলা পরিষদ চত্বর ও কাজির দেউড়ি মোড়ে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। তবে পুলিশ কোনো আবেদনই গ্রহণ করেনি। একপর্যায়ে নগরীর মুসলিম হলে সমাবেশ করার অনুমতি চায় বিএনপি। সেখানেও পুলিশের অনুমতি মেলেনি।
এ দিকে দলীয় কার্যালয় চত্বরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির দিবসের সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই অবৈধ সরকার একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশে বাকশাল কায়েম করেছে। তারা একদলীয় বাকশালী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে এখন রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যা দেশের সংবিধান পরিপন্থী। এই অবৈধ সরকার স্বৈরাচার এরশাদকেও হার মানিয়েছে উল্লেখ করে তিনি নব্য বাকশালী স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ কে ঐক্যবদ্ধভাবে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রোজি কবির। প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেনÑ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি নসরুল কদির চৌধুরী, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, মোহাম্মদ আলী, এস এম সাইফুল আলম, মোহাম্মদ আলী, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, হারুন জামান, এসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন