নিত্যপণ্যের মূল্যে লাগাতর ঊর্ধ্বমুখী প্রবনার মধ্যে সরকারি নুন্যতম কোনো নজরদারি না থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থাÑটিসিবি’র পণ্য বিক্রী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে গত ১২ দিন যাবত। অথচ রমজানকে সামনে রেখে এবার প্রায় দুমাস আগে থেকেই ছোলাসহ সব ধরনের ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, গুড়, পেয়াঁজ ছাড়াও রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কোনো সীমা নেই। করোনা মহামারী সংকটে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের আয় না বাড়লেও সাম্প্রতিককালের সর্বোচ্চ মূল্যস্ফিতিতে নভিশ^াস উঠছে এসব পরিবারে। কবে নিত্যপণ্যের দাম আবার সাধারণের জন্য সহনশীল হবে তা বলতে পারছেন না কেউই।
নিত্যপণ্যের লাগাতর ঊর্ধ্বমুখী প্রবনতায় নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর সংসারের চাকা ক্রমশ অচল হয়ে আসছে। সবাই এ থেকে পরিত্রান চাইলেও পরিস্থিতি উন্নতির কথা জানা নেই কারো। গত দু’বছরে শুধুমাত্র বাড়ি ভাড়া ছাড়া সংসারের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যয় বেড়েছে ২০Ñ৪০ ভাগ পর্যন্ত। কিন্তু শুধুমাত্র সরকারি ও আধা-সরকারি কর্মী ছাড়া নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর আয় বাড়েনি এক শতাংশও।
বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিনাঞ্চলের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলায় মাত্র ১৫টি পিকআপের মাধ্যমে অতি সিমিত আকারে পেঁয়াজ, চিনি, ভোজ্য তেল ও মুসুর ডাল বিক্রী করছিল। কিন্তু গত ১২ দিন তা বন্ধ থাকলেও কবে নাগাদ টিসিবি’র পণ্যবাহী পিকআপের পেছনে আবার নারী-পুরুষের লম্বা লাইন চোখে পড়বে, তা বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষও। ইতোপূর্বে টিসিবি’র গাড়ির পেছনে সমাজের নিম্নবিত্তের লাইন চোখে পড়লেও গত মাস দুয়েক যাবত সেখানে মধ্য বিত্তরাও ভিড় করছিলেন।
এসব ব্যাপারে বরিশালে টিসিবি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেও ঊর্ধ্বমুখী কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে যেকোন সময়ই তারা পণ্য বিক্রীর জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন