শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশেষ সংখ্যা

সাদামাটা ড্র’য়ে রঙিন ইমাম

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২২, ১২:০৪ এএম

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আগের দিন শেষেই প্রশ্নটা উঠেছিল- শেষ দিনে খেলে লাভটা কী? টেস্ট যে ড্র হচ্ছে তা তো মোটামুটি নিশ্চিত! ৭ উইকেটে ৪৪৯ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। গতকাল সকালের সেশনে মাত্র ১০ রান যোগ করে ৪৫৯ রানে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার পরও খেলার যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি অনেকে। পাকিস্তানের দুই ‘বেরসিক’ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তো ম্যাচটা আরও ‘ম্যাড়ম্যাড়ে’ করে ফেললেন। তাঁদের ২৫২ রানের জুটিই ভাঙতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ড্র হওয়ার সময় আব্দুল্লাহ শফিক ১৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। আগের ইনিংসে ১৫৭ রান করা ইমাম এই ইনিংসে করেন অপরাজিত ১১১*। এ ম্যাচের আগে টেস্টে কোনো শতক ছিল না ইমামের, এখন নামের পাশে দুইটি শতক!
ড্র ম্যাচে রেকর্ড হয়েছে ঠিকই। টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের এটাই সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৫৮ বছর আগে অভিষিক্ত আবদুল কাদির এবং খালেদ ইবাদুল্লাহর গড়া ২৪৯ রানের রেকর্ড ভাঙলেন আব্দুল্লাহ-ইমাম জুটি। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটিও। কিন্তু স্টিভেন স্মিথের ভাষায় ‘মরা উইকেটে’র কারণে এসব রেকর্ডেও টেস্টের রোমাঞ্চ খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাওয়ালপিন্ডির উইকেট কেমন ছিল, তা বোঝাতে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম চ্যানেল সেভেন একটি ছবি টুইট করেছে। ছবিটি মহাসড়কের, সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের স্কোরকার্ড। রাওয়ালপিন্ডির উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য মহাসড়কের মতোই সমান ছিল। নইলে পাঁচ দিন খেলে তিন ইনিংসে ১১৮৭ রান ওঠে কীভাবে, অস্ট্রেলিয়া তো দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়েই নামতে পারেনি!
পঞ্চম দিনে খেলার শেষ ভাগে দুই দলের খেলোয়াড়েরাই বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। প্রতিদ্ব›দ্বীতার লেশমাত্র ছিল না! সবাই জানতেন, টেস্ট ড্র হচ্ছে। তাই সময়টা কোনোভাবে কাটিয়ে দেওয়াই ভালো। জিও নিউজের সংবাদকর্মী আরফা ফিরোজ টুইটে জানান, গ্যালারির দর্শকদের টেস্টের ফল নিয়ে কোনো আগ্রহ নেই। অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের প্রতিই তাদের বেশি আগ্রহ। অথচ, পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই টেস্টেই জোড়া শতক তুলে নিয়েছেন ইমাম। হানিফ মোহাম্মদ, চাচা ইনজামাম-উল-হক ও ইউনিস খানদের জোড়া সেঞ্চুরির ক্লাবে ইমাম জায়গা করে নেন ১৭৯ বলে। প্রথম ১১ টেস্টে কোনো শতক না পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান এক ম্যাচেই করলেন দুটি। ইমাম ও শফিকের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে ৯ বোলারকে ব্যবহার করেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক কামিন্স। কোনো কৌশলই কাজে আসেনি। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু আগামী শনিবার, করাচিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ৪৭৬/৪ (ডিক্লেয়ার) ও ২৫২/০ (আব্দুল্লাহ ১৩৬*, ইমাম ১১১*; স্টার্ক ০/২৯, লায়ন ০/৭৫, হেড ০/৩৫)। অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ১৪০.১ ওভারে ৪৫৯ (আগের দিন ৪৪৯/৭) (স্টার্ক ১৩, কামিন্স ৮, লায়ন ৩, হেইজেলউড ০*; সাজিদ ১/১২২, নাসিম ১/৮৯, আফ্রিদি ২/৮৮, নুমান ৬/১০৭)। ফল : টেস্ট ড্র। ম্যাচসেরা : ইমাম-উল-হক। সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ০-০ সমতা।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন