প্রিন্সিপাল ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করা ফরজ। সাত বছর বয়স থেকে কুরআন শিক্ষা করা ও আমল শিক্ষা করা আবশ্যক। কেন্দ্রীয় পরীক্ষা থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেয়ার অর্থ হল এ বিষয়কে গুরুত্বহীন করা। তিনি বলেন, বোর্ড পরীক্ষা থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেয়ার চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না। ধর্মীয় শিক্ষা গুরুত্বহীন করার অর্থ হলো, নৈতিকতা থেকে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান সহ সকল ধর্মের সন্তানদের নাস্তিকতা ও ধর্মবিমুখতার দিকে ঠেলে দেয়া। অনতিবিলম্বে ২০২২ সাল থেকে বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষাকে আওতাভুক্ত করতে হবে। তারা বলেন, এই বিষয় নিয়ে সারা দেশে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত সরকারের সকল অবদানকে ম্লান করে দিবে। সরকারকে ধর্ম বিদ্বেষী হিসেবে আখ্যায়িত করবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে মঙ্গলবার এক মতবিনিময় সভায় ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান এসব কথা বলেন। দক্ষিণের সভাপতি আ ন ম সাখাওয়াতের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব উপাধ্যাক্ষ আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের মহাসচিব উপাধ্যাক্ষ মোহাম্মদ আবদুর রহমান, উপাধ্যাক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব কবি মুহিব্বুল্লাহ জামী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবি আবু জাফর ছালেহী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি প্রভাষক আ জ ম সাখাওয়াত হোসাইন, দক্ষিণের সহ সভাপতি সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শিক্ষক জাকির হোসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন