শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সেচের অভাবে ৫০০ বিঘা জমির বোরো ধান নষ্ট হতে বসেছে। চারা রোপণের পর এক মাস অতিবাহিত হলেও ক্ষেতে পানি দিতে পারেনি কৃষক। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রীজ নির্মাণের জন্য খালে বাঁধ দিয়ে রাখায় সেচ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কৃষক। বাঁধ অপসারণ করে খালে পানি চলাচলের উপযোগী করতে কৃষি বিভাগ, উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে কৃষক।
স্থানীয়কৃষকরা জানান, ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ও দারুল আমান ইউনিয়নের উত্তর ডামুড্যা, সিড্যা ও গোয়ালকা এলাকায় প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে চারটি ব্লকে বোরো ধান চাষাবাদ হয়। এই ধান দিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়। এই বছরও খাল থেকে সেচ দিয়ে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করে কৃষক। পরবর্তীতে ঝালো বাড়ির নিকট ব্রীজ নির্মাণের জন্য খালে বাঁধ দেয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এতে জয়ন্তী নদী থেকে খালে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। পানির অভাবে ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে ধানের চারা শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। সেচ ব্যবস্থা চালু না হলে কৃষক পথে বসে যাবে।
কৃষক হুমায়ুন পাইক বলেন, আমরা কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমাদের অন্য কোন কর্ম নাই। এবার পানির অভাবে আমাদের বোরো ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা এবছর পরিবার নিয়ে আমাদের খুব কষ্টে দিনাতিপাত করতে হবে। এখনো ২০ দিনের জন্য পানি পাইলে আমাদের ফসল ঘরে তুলতে পারবো।
কৃষক জালাল সরদার বলেন, ধানের চারা রোপনের পর জমিতে একদিনও পানি দিতে পারি নাই। খাল বন্ধ করে ব্রীজ নির্মাণের কারণে আমাদের খালে পানি আসেনা। আমরা প্রশাসনের কাছে পানি পাওয়ার জন্য আবেদন করছি।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্লক ম্যানেজার জানায়, ঠিকাদার কৃষকের বাঁধার মুখে প্রভাব খাটিয়ে খালে বাঁধ দেয়। এতে পানি সেচ বন্ধ হয়ে গেছে। জমি ফেটে চৌচির হয়ে ধানের চারা মারা যাচ্ছে। দ্রুত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না করলে কৃষক ও ব্লক ম্যানেজার ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ব্রীজের কাজ এবং খালে পানি সরবরাহ যেন বন্ধ না হয় সেই দিকে খেয়াল রেখেই তারা কাজ করবেন বলে জানিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শেখ এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আবুল হোসেন। ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর মাঝি বলেন, কয়েকজন কৃষক আমার কাছে এসে বিষয়টি জানিয়েছে। কৃষকদের সাথে উপজেলা কৃষি অফিসারকে ব্লকে পাঠানো হয়েছে। কৃষক যেভাবে পানি পেতে পারে দ্রুত সেই ব্যবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন