কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে তিন স্কুললছাত্রী শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। গতকাল বুধবার ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়কের কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর রেলক্রসিং এলাকায় ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেসে ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো- সদর দক্ষিণের বারপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকার ওমান প্রবাসী দুলু মিয়ার মেয়ে তাসপিয়া, মাসুম মিয়ার মেয়ে মিম ও রিপন হোসেন ভুট্টুর মেয়ে রিমা।
প্রত্যক্ষদর্শী শরীফুল সুলতান বলেন, অনেক দূর পর্যন্ত দেখছিলাম, বাচ্চাটি ট্রেনের সামনে আটকে রয়েছে, পড়েনি। আমি বাইকে ছিলাম। ট্রেনটা রাস্তা ক্রস করার পরই আমি বাইক নিয়ে পেছনে ছুটি। কিছুদূর যাওয়ার পর সামনে ব্রিজ পড়ায় আর যেতে পারিনি। বাচ্চাটি ট্রেনের সামনে ঝুলছিল। তার বুকে ট্রেনের সামনের রডে গেঁথে রয়েছে। আর মাথাটা সামনে এবং পাগুলো উল্টো দিকে (ট্রেনের নিচের দিকে) ঝুলে ছিল।
তিনি বলেন, আমার এখনও শরীর কাঁপছে। কী দেখলাম! চোখের সামনে দেখেছি, তিনটা বাচ্চাকে ট্রেন পিষে দিচ্ছে। কিন্তু কিছু করার ছিল না। সেখানে থাকা বাসের যাত্রীরাও চিৎকার করছিলেন। অনেকে আল্লাহু আকবার বলে চিৎকার দিচ্ছিলেন। কিন্তু আমাদের কী করার ছিল? শুধু চেয়ে চেয়ে নিজের মেয়ের বয়সী তিনটা মেয়ে শেষ হয়ে যেতে দেখলাম। পরে খবর নিয়ে জানতে পারলাম, ট্রেনে যাকে মুখে করে নিয়ে গেছে। তার লাশ প্রায় এক কিলোমিটার দূরে লাকসাম হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনের রেললাইনে পাওয়া গেছে। লাকসাম রেলওয়ে থানার ওসি জসিম খন্দকার জানান, লাশ তিনটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন চলাচল প্রায় ঘণ্টাখানেক বন্ধ ছিল। এছাড়াও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন