শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

পায়রা বন্দরে হচ্ছে না কয়লাবাল্ক টার্মিনাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০২২, ১২:২৪ এএম

দীর্ঘ মেয়াদে তেমন কোনো সুবিধা না থাকায় পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কয়লাবাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি পিপিপি তালিকা থেকে বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল অনলেইনে যুক্ত হয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘কয়লাবাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পটি পিপিপি তালিকা থেকে বাতিলের প্রস্তাবসহ দুইটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পায়রা বন্দরে একটি কয়লা বাল্ক ট্রামিনাল নির্মাণ প্রস্তাব ছিল সেটা কেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই প্রস্তাবটি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। প্রথমে আমরা যে ধরনের বিশ্বাস নিয়ে আমরা প্রস্তাবটি পাস করিয়েছিলাম পরে দেখা গেল এখানে কিছু মিসম্যাচ হচ্ছে চাহিদা ও ডিমান্ডের মাঝে।
তিনি বলেন, এখন এধরনের প্রকল্প নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওল্ডবেইজড পাওয়ারপ্লান্ট এবং এর সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য বিষয়ও রয়েছে। ফলে এটা যেভাবে এসেছিল সেভাবেই রয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদের সুবিধা নেওয়া যাবে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়েছে এটা বাস্তবায়ন করতে গেলে আরো অর্থবছর পড়ে থাকবে। সেজন্য এখান থেকে সরে এসেছি। আমরা অন্যভাবে অন্য জায়গায় যেখানে অর্থনৈতিক কর্মকা- হয় যেখান থেকে বেশি লাভবান হতে পারি। সেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই এখান থেকে বাদ দিয়েছি।
এছাড়া সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক ৬০টি বহুমুখী অ্যাক্সেসযোগ্য রেসকিউ বোট বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ‘ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড’- এর কাছ হতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর সরকারি ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য (টেবিলে ৪টি উপস্থাপনসহ) ১৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৪টি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ৩টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ৩টি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১৩টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ৮১৬ কোটি ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৫ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ১ হাজার ৭৮৪ কোটি ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৩ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ঋণ ১ হাজার ০৩১ কোটি ৪৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৯২ টাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন