যথাযথ গুরুত্বের সাথে বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২২ উদযাপন করেছে শীর্ষস্থানীয় কিডনি বিষয়ক বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পস), ইউনাইটেড হসপিটাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চ। গত বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানগুলো দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ চেক বুথে প্রায় এ হাজার রোগী ও তাদের স্বজনেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সুবিধা গ্রহণ করে। এছাড়াও চিকিৎসক ও নার্সদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এই উপলক্ষে ইউনাইটেড হসপিটালের ডিরেক্টর মেডিকেল সার্ভিসেস (ডিএমএস) ডা. শান্তি বানসাল বলেন, এ বছর কিডনি দিবসটির প্রতিপাদ্য হচ্ছে-‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য-জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’। বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তিনি বলেন, কিডনির যতেœ, জ্ঞানের শূন্যতা দূর করে, আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। মানুষকে জানাতে হবে, সচেতন করতে হবে। কিডনি ও এর জটিলতার সৃষ্ট সকল রোগের চিকিৎসায়, ইউনাইটেড হসপিটালের প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পস) প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি প্রফেসর ডা. এম এ সামাদ বলেন, সারাবিশে^ ৮৫ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত, কিডনি বিকল মৃত্যুর কারণ হিসেবে দুই যুগ আগে ২৭তম স্থানে ছিল, যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭ম স্থানে এবং ২০৪০ সালে দখল করবে ৫ম স্থান। দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে কিডনি রোগের হার। বাংলাদেশে ২ কোটিরও অধিক লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকল রোগের চিকিৎসা এতো ব্যয়বহুল যে, এদেশের শতকরা ১০ভাগ লোক এই ব্যয় সংকুলান করতে পারে না। অথচ একটু সচেতন হলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ সম্ভব।
এছাড়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চ যৌথভাবে জাতীয় সংসদ ভবনে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে আয়োজিত ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী সংসদ সদস্যগণ বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। এজন্য শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন এবং তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপ সবচেয়ে জরুরি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন