মানব পাচারকারীদের প্রতারণায় সার্বিয়ার রাস্তায় প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবক বাদলের। গত ৭ মার্চ স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৩টায় সার্বিয়ার রাস্তায় মৃত্যুবরণ করেন বাদল খন্দকার (পাসপোর্ট ইণ ০৯৪০৫৭৪) নামের এক বাংলাদেশি। বাদল মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার মধুরচর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। মৃত বাদলের ভাই সাদ্দাম হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাড়ে ছয় লাখ টাকার বিনিময়ে অসৎ উদ্দেশ্য বাদলকে রিক্রুটিং এজেন্সি মেসার্স নূরজাহান রিক্রুটিং এজেন্সি (আর.এল-১৩৯৪) জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র দিয়ে ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর সার্বিয়া পাঠায়। চুক্তি ছিলো সার্বিয়াতে কোম্পানির কাজ দিবেন বাদলকে কিন্তু বাদল সেখানে গিয়ে কোন কোম্পানি খুঁজে পায়নি। হতাশায় দিন কাটে বাদলের। স্বজনরা দালাল ও এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, কোম্পানি করেকদিন আগে বন্ধ হয়ে গেছে আমাদের করার কিছুই নেই এমন সিদ্ধান্ত হতাশ হয়ে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে জীবন বাঁচার তাগিদে বাদল সার্বিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশ্য রওনা দেন কিন্তু তাতেও রক্ষা হলো না বাদলের। এমন অবস্থায় পথেই মৃত্যু হয় বাদলের।
বাদলের ভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, প্রতারণার শিকার বাদল সার্বিয়ায় কোনো কাজ পায়নি। ক্ষুধার জ্বালায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে বাদল। ধার দেনা করে গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে খাবারের টাকা পাঠাতে হয়েছে। জীবন বাঁচাতে বাদল দেশটির শরণার্থী ক্যাম্পেও আশ্রয় নিয়েছিল। নূর জাহান ট্রাভেলসের মালিক আব্দুর রহিম বাদলকে দেশটিতে চাকরি দেয়ার কোনো ব্যবস্থাই করেনি। প্রতারণার শিকার বাদল নিরুপায় হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরলেও আব্দুর রহিম কোনো প্রকার সহায়তার হাত বাড়ায়নি। বাদলের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা চলছে। জানা গেছে, বাদলের লাশ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ইতালি’কে চিঠি পাঠিয়েছে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন