শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জমি জালিয়াতির মাধ্যমে এনার্জি প্রিমার দরপত্র দাখিল

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্ট

প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নোয়াখালীর চৌমুহনীতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ১শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্টের জন্য জমি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে দরপত্র দাখিল করেছে এনার্জি প্রিমা লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি।
জানা যায়, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৯ মে উক্ত পাওয়ার প্লান্ট নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে। দরপত্রে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির মতো এনার্জি প্রিমা দরপত্র দাখিল করে। তারা দরপত্র যোগ্যতা প্রমাণের জন্য ৬শ’ শতাংশ জমির ওপর উক্ত পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করবে বলে দরপত্রের সাথে সংযুক্ত করে। তবে অভিযোগ এসেছে, এসব জমির অধিকাংশ ভুয়া ও মিথ্যা তথ্যসম্বলিত। তাদের দরপত্রে যে সকল জমির তফসিল গ্যারান্টি হিসেবে দেখানো হয় তা অন্যদের জমি। এ ব্যাপারে উক্ত তফসিলভুক্ত জমির মালিকরা বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে ও পিডিবিতে সোমবার লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগপত্রে তাদের জমির দলিলের কপিও সংযুক্ত করেছেন। অভিযোগকারী জমির মালিকরা হলেনÑ নোয়াখালী বেগমগঞ্জ থানার মোঃ আবুল হোসেন মাসুদ ও সহিদ উল্ল্যাহ, তাদের জমির পরিমাণ ১১.৩ শতাংশ; মারজাহান বেগম, তার জমির পরিমাণ ১৪২ শতাংশ; মোঃ ইয়াছিন ও ফরমান উল্ল্যাহ, তাদের জমির পরিমাণ ৩৬.৫ শতাংশ; মোঃ আবুল কালাম এর জমির পরিমাণ ১৮.৫ শতাংশ এবং মোঃ আব্দুল করিম ভূইয়ার জমির পরিমাণ ৩৬.৬২ শতাংশ।
জমির মালিকরা অভিযোগপত্রে তাদের মালিকানাধীন জমির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। মোঃ আবুল হোসেন মাসুদ ও মোঃ সহিদ উল্ল্যাহর ১১.৩ শতাংশ জমির তফসিল হলো: জিলা- নোয়াখালি, থানা- বেগমগঞ্জ, ২৪১ নং নরোত্তমপুর মৌজাস্থিত সাবেক ২২২১, ২২২২এবং ২২২৩ নং দাগের ১১.৩৩ শতাংশ ভূমি যা ৩১/০১/২০০৮ ইং তারিখের ৬৭৫ নং সাফ-কবলা দলিল মূলে মৃত আব্দুল বারিকের পুত্র মোঃ এমাম হোসেন এর নিকট হতে প্রাপ্ত।
মারজাহান বেগমের ১৪২ শতাংশ জমির তফসিল হলো: জিলা- নোয়াখালী, থানা- বেগমগঞ্জ, ২৪১ নং নরোত্তমপুর মৌজাস্থিত সাবেক ২২০১, ২২১১, ২২১৯, ২২২২, ২২২৩, ২২২৪, ২২৩১ এবং ২২৩১ নং দাগের ১৪২ শতাংশ ভূমি যা ২৯/১২/২০১৩ইং তারিখের ১০৯৪৬ নং হেবা-বিল-এওয়াজ দলিল মূলে মৃত আব্দুল বারিকের পুত্র নুর মোহাম্মাদ এর নিকট হতে প্রাপ্ত।
মোঃ ইয়াছিন ও মোঃ ফরমান উল্ল্যাহর ৩৬.৫ শতাংশ জমির তফসিল হলো: জিলা- নোয়াখালী, থানা- বেগমগঞ্জ, ২৪১ নং নরোত্তমপুর মৌজাস্থিত সাবেক ২২২১, ২২২২, ২২২৪, ২২২৫, ২২২৬, ২২২৭, ২২৩১, ২২৩৫ এবং ২২১৯ নং দাগের ৩৫.৫ শতাংশ ভূমি যা ২৮/০৭/২০০৯ইং তারিখের ৬০৯৮ নং সাফ-কবলা দলিল মূলে মৃত আব্দুল বারিকের স্ত্রী ও পুত্র যথাক্রমে লায়লা বেগম, মোঃ এমাম হেসেন এবং মোঃ হুমায়ুন কবির ওরফে মিলন হোসেন-এর নিকট হতে ক্রয়কৃত।
মোঃ আবুল কালাম-এর ১৮.৫ শতাংশ জমির তফসিল হলো: জিলা-নোয়াখালী, থানা- বেগমগঞ্জ, ২৪১ নং নরোত্তমপুর মৌজাস্থিত সাবেক ২২০০, ২২০১, ২২১৯, ২২২৪, ২২২৬, ২২২৭, ২২৩১, ২২৩৫ এবং ২২৩৬নং দাগের ১৮.৫ শতাংশ ভূমি যা ০৭/০৭/২০০৯ইং তারিখের ৫১৬৯ নং সাফ-কবলা দলিল মূলে মৃত আব্দুল বারিকের পুত্র বেলাল হোসেন-এর নিকট হতে প্রাপ্ত।
মোঃ আব্দুল করিম ভূইয়ার ৩৬.৬২ শতাংশ জমির তফসিল হলো: জিলা- নোয়াখালী, থানা- বেগমগঞ্জ, ২৩৯ নং গণিপুর মৌজাস্থিত সাবেক ৫৫৫, ৫৫৬, ৫৬২, ৫৪৬/৭১৫, ৫৪৬/৭১২, ৫৪৬/৭১৩, ৫৬৭ এবং ৭১৭ নং দাগের ৩৬.৬২ শতাংশ ভূমি যা ২৮/০৭/২০০৯ইং তারিখের ৬০৯৭ নং সাফ-কবলা দলিল মূলে মৃত আব্দুল বারিকের স্ত্রী- পুত্র যথাক্রমে লায়লা বেগম, মোঃ এমাম হেসেন এবং মোঃ হুমায়ুন কবির ওরফে মিলন হোসেন-এর নিকট হতে ক্রয়কৃত।
এসব অভিযোগের বিষয়ে এনার্জি প্রিমার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসাইনের বক্তব্য নেয়ার জন্য অফিসের নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ জালিয়াতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন