বিশেষ সংবাদদাতা : প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর মূল স্থানকে নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে জিও ব্যাগ ও ব্লক ডাম্পিং শুরু হবে। গত ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর মূল স্থান থেকে উজানে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিলে অস্থায়ী ভিত্তিতে তা ঠেকানো হয়। এবার সেখানে স্থায়ী কাজ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে এই কাজ করছে।
জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতুর মূল নদী শাসন কাজ সংলগ্ন উজানে মাওয়া-কান্দিপাড়া-যশোলদিয়া এলাকায় ২০১৪ সালে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এই ভাঙনের কারণে প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর স্থানটি ঝুঁকির মুখে পড়ে। পদ্মা সেতুর মূল নদী শাসনের কাজ হচ্ছে ৮শ’ মিটার। যা চীনের কোম্পানি সিনো হাউড্রোর মাধ্যমে বাস্তবায়ন হচ্ছে।
এই কাজের উজানে ১৩শ’ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। এতে করে প্রস্তাবিত পদ্মা সেতুর মূল স্থান নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পদ্মা বহুমুখি সেতু প্রকল্পের আওতায় ডিপোজিট ওয়ার্ক হিসাবে পাউবোকে এই ভাঙন প্রতিরোধের দায়িত্ব দেয়া হয়। পাউবো সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ওই সময় অস্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করে নদী ভাঙন রোধ করে।
এখানে বর্তমানে ৪শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থায়ী কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি এখানে জিও ব্যাগ ও ব্লক পিসিং শুরু হবে। ইতোমধ্যেই ৮০ ভাগ ব্লক বানানোর কাজ শেষ হয়েছে। জুন ২০১৭ সালের মধ্যে এর বাস্তবায়ন কাজ শেষ হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইতোমধ্যেই ডাম্পিং ও পিসিংয়ের জন্য ২৫ লাখ ব্লক এবং ৭ লাখ জিও ব্যাগ তৈরি রয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্পের পিডি মো. আবদুল মতিন ইনকিলাবকে বলেন, পাউবো সেনাবাহিনীর মাধ্যমে অস্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজের মাধ্যমে এখানকার নদী ভাঙন অস্থায়ীভাবে প্রতিরোধ করায় এলাকাটি রক্ষা পেয়েছে। তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, এই ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে নদী উজান দিক থেকে পদ্মা সেতুর প্রস্তাবিত স্থানে ঢুকে যেত। এতে করে পদ্মা সেতুর বর্তমান স্প্যান থেকে আরও ১ থেকে ২টি স্প্যান বাড়ানোর প্রয়োজন হতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন