মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুর নরম আমেরিকার, মহাকাশে রাশিয়ার সঙ্গ ছাড়তে নারাজ নাসা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০২২, ১২:৪৬ পিএম

ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে কাজ চলবে। রুশ মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন সংক্রান্ত কাজে লড়াইয়ের প্রভাব পড়বে না। সোমবার এক বিবৃতি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

সোমবার এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, “ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের সঙ্গে কাজ চলবে। চলতি মাসের শেষের দিকে আইএসএস (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন) থেকে রুশ মহাকাশযানে চেপে পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা মাফিক এক মার্কিন নভোচর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।” বিবৃতিতে নাসা আরও জানিয়েছে, “প্রযুক্তি সংক্রান্ত রপ্তানির ব্যাপারে (আমেরিকার) নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অসামরিক মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে রাশিয়া-আমেরিকার সহযোগিতা প্রভাবিত হবে না। কক্ষপথ ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলিতে যেভাবে কাজ চলছে সেভাবেই চলবে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই রাশিয়া-সহ সব সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে কাজ করবে নাসা।”

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়েছিল মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে পারে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে। সম্প্রতি রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের (Roscosmos) প্রধান দিমিত্রিয় রোগোজিন জানিয়েছিলেন, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণায় প্রভাব ফেলবে। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে প্রভাব পড়বে। যার জেরে যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্পেস স্টেশনের একাংশ। আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এই ঘটনা ঘটবে। তাই রোগোজিনের হুঁশিয়ারি, রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আগে পশ্চিমী দেশগুলির ভেবে দেখা উচিত। বলে রাখা ভাল, স্পেস স্টেশনে রাশিয়ার অংশ এই গবেষণাগারের কক্ষপথ ঠিক রাখার কাজ করে। তারপরই নাসার ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে আপাতত মস্কোর মদত ছাড়া স্পেস স্টেশনে কাজ চালানো সম্ভব নয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রায় একপক্ষ কালের বেশি সময় ধরে ভয়াবহ যুদ্ধ চলছে দুই দেশের মধ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে জব্দ করতে রাশিয়ার উপর একগুচ্ছ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান-সহ একাধিক দেশ। রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করাও বন্ধ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ‘সুইফট’ ব্যবস্থা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রজুক্তির হস্তান্তর। এর ফলে ওই ব্যাংকগুলি গোটা বিশ্বে আর কাজ করতে পারছে না। ধাক্কা খাচ্ছে রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানি। ফলে জোর ধাক্কা খেয়েছে রুশ অর্থনীতি। এহেন পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব খর্ব করতে মরিয়া মস্কো। সূত্র: রয়টার্স, এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন