আর্টেমিসের প্রথম মিশনে তিন ‘বিশেষ’ নভোচারীকে চাঁদে পাঠাচ্ছে নাসা। আসলে নাসা তো আবারও চাঁদে মানুষ পাঠানোর কথাই ভাবছে। আগামীর সেই মিশনকে সফল করতে কী কী প্রতিবন্ধতার মুখে পড়তে হতে পারে, তা বুঝে নিতেই এবার ওরিয়ন ক্যাপসুলে বসবে তিন ম্যানিকুইন। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রোববার প্রথম প্রহর) ছেড়ে যাবে রকেট, এখন চলছে সেই প্রস্তুতি পর্ব। ওরিয়ন ক্যাপসুলে যে তিন ম্যানিকুইন যাবে, এদের একজনের নাম কমান্ডার মুনিকিন ক্যামপোস। আগামী মিশনে নভোচারীদের যেমন পোশাক পরার কথা, এবার ক্যামপোসের পরনে সেই পোশাকই থাকবে। ক্যামপোসের সঙ্গী হবেন অঙ্গবিহীন হেলগা ও জোহার। এই দুজনের কাছে থাকবে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করার যন্ত্র। তাতে জানা যাবে আগামীতে এমন চন্দ্রাভিযানে নভোচারীদের জন্য তেজস্ক্রিয়তার ঝুঁকি কতটুকু। জোহার এমন একটি পোশাক পরে থাকবে, যা তেজস্ক্রিয়তা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। তবে হেলগাকে এমন কোনো পোশাক দেওয়া হবে না। আসলে নাসার এবারের চন্দ্রাভিযান একটি পরীক্ষামূলক মিশন। নাসার নতুন ‘স্পেস লঞ্চ সিস্টেম’ বা এসএলএস দিয়ে এই প্রথম বড় মিশনে হচ্ছে। আর নিরাপত্তার বিষয়ে পুরো নিশ্চিত না হয়ে নাসা নভোচারীসহ ক্যাপসুল নিয়ে রকেট পাঠাতে চাইবে না, সেটাই স্বাভাবিক। এই পরীক্ষামূলক অভিযানের মধ্যে দিয়ে এসএলএস এবং ওরিয়নের সর্বোচ্চ ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করে দেখতে চলেছে নাসা। এই মিশনে কিউবস্যাটস নামে ১০টি ছোট স্যাটেলাইটও পাঠানো হবে। কিছু স্যাটেলাইট চাঁদে তুষারের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে। একটি স্যাটেলাইট থেকে বড় আকারের সৌর-পাল ছাড়া হবে এবং ওই স্যাটেলাইট গ্রহাণুর দিকে নজর রাখবে। আর একটি স্যাটেলাইট চাঁদে অবতরণের চেষ্টা চালাবে। চাঁদে শেষবার কোনো মানুষের পদচিহ্ন পড়েছিল ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর মাসে। আর্টেমিস প্রকল্পের মাধ্যমে চাঁদে আবার মানব নভোচারীদের পাঠাবে নাসা। পরে সেই অভিযান সম্প্রসারিত হবে মঙ্গলে। তা সফল হলে প্রথমবারের মত মঙ্গলে মানুষের পা পড়বে। সেজন্যই নতুন রকেট এবং স্পেসক্রাফটের কার্যক্ষমতা যাচাই করে দেখার মিশন হচ্ছে আর্টেমিস ওয়ান। কথা ছিল গত ২৯ অগাস্টই উৎক্ষেপণ করা হবে আর্টেমিস ওয়ান অভিযনের রকেট। কিন্তু কারিগরি ত্রুটি ধরা পড়ায় শেষ মুহূর্তে সেই চেষ্টা হোঁচ খায়। যাত্রার নতুন দিন ঠিক করা হয় শনিবার। সিএনএন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন