বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন বলে তার পরিবার থেকে যে দাবি করা হচ্ছে এর পক্ষে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিয়া চৌধুরীর দাবি মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী। পরিচয় শনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করতে সামিয়া চৌধুরী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) কাছে চিঠিও পাঠিয়েছেন। কিন্তু গত শুক্রবার পর্যন্ত কোন চিঠি পায়নি সিআইডি।
সিআইডির প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, চিঠিটির কথা আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। কিন্তু চিঠিটি আমাদের হাতে শুক্রবার পর্যন্ত পৌঁছায়নি। হারিছ চৌধুরীর পরিচয় শনাক্তকরণে ডিএনএ পরীক্ষার করাতে হলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে ডিএনএ অ্যাক্টও অনুসরণ করতে হয়। এছাড়া কোনো মৃত ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন আছে। সিআইডি সূত্রে জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে এ ব্যাপারে সিআইডি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। সামিরা চৌধুরীকে উদ্বৃত করে তারা প্রতিবেদনটি করেছিল। পরবর্তীতে মার্চ মাসে ওই পত্রিকায় ‘হারিছ নয়, মাহমুদুর রহমান মারা গেছেন’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে দাবি করা হয়, ‘হারিছ চৌধুরী দীর্ঘ ১৪ বছর দেশেই আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি তার নাম-পরিচয় বদল করেন। নতুন নাম নেন ‘মাহমুদুর রহমান’। এই নামেই তিনি নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। তিনি প্রায় ১১ বছর ঢাকার পান্থপথে ছিলেন। নিজেকে একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক বলে পরিচয় দিতেন। ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর পর তাকে সাভারে দাফন করা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর হারিছ চৌধুরীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হারিছ চৌধুরীর ৭ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলার একজন আসামি তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন