কর্পোরেট রিপোর্টার : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনিয়মের দায়ে পুঁজিবাজারের দুই ব্রোকার হাউস বা ট্রেক হোল্ডারকে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সিএমএসএল সিকিউরিটিজ এবং সালতা ক্যাপিটাল। এছাড়া দুটি প্রতিষ্ঠানকে আইন অমান্য করলেও আইন পরিপালনের ঘাটতি দূর করায় সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিএসইসির ৫৮৭তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিএসইসি জানিয়েছে, আইন ভঙ্গের দায়ে সালতা ক্যাপিটালকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের সমন্বিত হিসাবে ঘাটতির মাধ্যমে সিকিউটিরিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন রুলস ১৯৮৭-এর রুলস ৮ এ (১) এবং (২) লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া শেয়ার শর্ট সেল, ৫ লাখ টাকার বেশি নগদ লেনদেন এবং বিনিয়োগকারীকে কনফারমেশন নোট প্রদানের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ রুলস অমান্য করেছে। এছাড়া সিএমএসএল সিকিউরিটিজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ঋণ অযোগ্য ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে নেটিং সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি নেট ক্যাপিটাল ব্যালেন্সে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রদান করেছে। এসব কারণে সিএমএসএল সিকিউরিটিজকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিএসইসি জানিয়েছে, অনুমোদিত প্রতিনিধির আত্মীয়ের নামে পরিচালিত বিও হিসাবে নেগেটিভ ব্যালেন্স প্রদান করা, গ্রাহকের হিসাবে তহবিল ঘাটতি থাকার পরেও কিছু বিনিয়োগকারীকে অর্থ প্রদান করা এবং নগদ হিসাবে মার্জিন ঋণ সুবিধা প্রদান করে আইন লঙ্ঘন করেছে অ্যারেনা সিকিউরিটিজ। আর হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজ বিনিয়োগকারীকে নেট ক্যাপিটাল ব্যালেন্স এর ২৫ শতাংশের অতিরিক্ত মার্জিন ঋণ প্রদান, নন মার্জিনেবল ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ে মার্জিন ঋণ প্রদান এবং সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে প্রায় ৩ কোটি টাকা ঘাটতির মাধ্যমে আইন লঙ্ঘন করেছে। তবে এ দুটি ব্রোকারেজ হাউজ সংশ্লিষ্ট আইন পরিপালনের মাধ্যমে উল্লেখিত ঘাটতিগুলো দূর করেছে। তাই বিএসইসি ব্রোকারেজ হাউজ দুটিকে সতর্কপত্র ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন