বগুড়ার গাবতলীতে জরিনা আকতার নামের এক ভুয়া ইউএনও গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতারকৃত জরিনা আকতার উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের তেরোপাখি গ্রামের বিকুল ইসলামের স্ত্রী।
জানা গেছে, উল্লেখিত তেরোপাখি গ্রামের গৃহবধূ জরিনা আকতার নিজেকে গাবতলীর ইউএনও পরিচয় দিয়ে নেপালতলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসহায় গরীব মানুষদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কাউকে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘর, কাউকে সরকারি চাকরি দেয়া আবার কাউকে এনজিও থেকে সহজেই লোন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে এই টাকাগুলো তিনি হাতিয়ে নেয়। দীর্ঘদিনেও জরিনা আকতারের কাছ থেকে কোনো সুফল না পাওয়ায় ভুক্তভোগীরা গত ৫ই মার্চ গাবতলীর ইউএনও মোছা. রওনক জাহানের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে গাবতলীর ইউএনও মোছা. রওনক জাহান ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের গতকাল সোমবার তাঁর কার্যালয়ে এনে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জরিনা আকতার স্বীকার করে বলেন, তিনি নেপালতলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আজিজুল হক জিন্না ও তেরোপাখি গ্রামের মৃত ওছমান আকন্দের ছেলে মজনু আকন্দ এর পরামর্শে ও আর্থিক লোভে তিনি নিজে’কে গাবতলীর ইউএনও পরিচয় দিয়ে ৮ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে গাবতলীর ইউএনও মোছা. রওনক জাহান বলেন, সরকারি চাকরি, সরকারি পাকাঘরসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জরিনা আকতার ৮ জনের কাছ থেকে মোট ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা লুটপাট করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। তাই অভিযুক্ত জরিনা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে গাবতলী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম জানান, প্রতারণার স্বীকার নেপালতলী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বিজয় চন্দ্র রায়ের ছেলে বিপ্লব দাস বাদী হয়ে জরিনা আকতারকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত জরিনাকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন