বৃহস্পতিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩ আশ্বিন ১৪৩০, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাকৃবিতে ছাত্রী লাঞ্ছনার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ

বাকৃবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০২২, ১২:০০ এএম

স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের দু’টি গ্রুপের মধ্যে বাগবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। বাগবিতন্ডা চলাকালীন ছাত্রলীগ নেতা খন্দকার তায়েফুর রহমানের বিরুদ্ধে কয়েকজন ছাত্রীকে লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে। লাঞ্ছনার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকালে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা ভিসির বাসভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অভিযুক্তের বহিষ্কার ও বিচার দাবি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার সকালের দিকে বাকৃবির বেগম রোকেয়া হল ছাত্রলীগ ইউনিটের ছাত্রীরা একটি র‌্যালি বের করে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিতে যায়। ফুল দিয়ে ফেরার সময় ছাত্রলীগ নেত্রী ইসরাত জাহান রিজা ও কয়েকজন মেয়ে অন্য ছাত্রলীগ গ্রুপের সঙ্গে ফুল দিতে যেতে চাইলে হলের সাধারণ সম্পাদক তানজিনা শিকদার তাদের বাঁধা দিলে তাদের মধ্যে বাগবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তায়েফ রিয়াদ ও তার দলের নেতাকর্মীরা এসে ওই হলের কিছু ছাত্রীদের আলাদা করে নিয়ে চলে যায়।
এদিকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিচার দাবি করে সাধারণ ছাত্রীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরারর একটি অভিযোগপত্র জমা দেয় লাঞ্ছনার শিকার হওয়া ছাত্রীরা। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনাস্থলে তায়েফ রিয়াদের নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আমাদের বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে তায়েফ রিয়াদসহ কয়েকজন একাধিক ছাত্রীর গায়ে হাত দেয়। এই ঘটনায় বাকৃবির শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা অপমানিত, লাঞ্ছিত ও ক্ষুব্ধ। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দ্রুত বিচার করে তায়েফ রিয়াদসহ দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো। বেগম রোকেয়া হলের ছাত্রী ও শাখা ছাত্রলীগ নেত্রী ইসরাত জাহান রিজা জানান, ঘটনাস্থলে আমিও উপস্থিত ছিলাম। কাউকে লাঞ্ছিত করা হয়নি। যেসব মেয়েরা আমার সাথে আসতে চেয়েছিল তাদের জোর করে তারা নিয়ে যেতে চেয়েছিল। এসময় আমি বাঁধা দিলে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে তায়েফ রিয়াদ জানান, এটা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। এমন কিছুই করা হয়নি। বরং মেয়েরা হলের সিনিয়র নেত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। আমাকে হেয় করার জন্যে এমন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দুপুরের দিকে আন্দোলনকারী ছাত্রীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের সঙ্গে বসে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন