কর্পোরেট রিপোর্টার : চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর (প্রথম প্রান্তিক) প্রস্তাবিত মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০ হাজার ২৫১ কোটি ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা। যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় বিনিয়োগের ১০ হাজার ১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বেশি। এ সময় মোট ৩০৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর আলোচ্য সময়ে স্থানীয় ও বিদেশি উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে প্রকৌশল শিল্প খাত থেকে। প্রস্তাবিত মোট বিনিয়োগের ৬৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে। এর পরই রয়েছে রাসায়নিক শিল্প খাত। মোট বিনিয়োগ প্রস্তাবের ১০ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে। এছাড়া টেক্সটাইল ও প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন খাতের অবদান যথাক্রমে ৫ দশমিক ৭৪ ও ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। অন্যান্য খাত থেকে এসেছে বাকি ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বিনিয়োগ প্রস্তাব। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র পাওয়া গেছে। বিনিয়োগ বোর্ড বিলুপ্তির পর বিডা বিনিয়োগ নিবন্ধন কাজ করেছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ৫৩ হাজার ২৭৯ সংখ্যক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছে বিডা। বিডার হালনাগাদ পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে, আলোচ্য সময়ে স্থানীয় বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত ২৬৯টি শিল্প ইউনিটে প্রস্তাবিত অর্থের পরিমাণ ১৯ হাজার ৫১০ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা। একই উৎস থেকে এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে নিবন্ধিত ৩৯৪টি শিল্প ইউনিটে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২৯ হাজার ১০৬ কোটি ৯১ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। অন্যদিকে গত প্রান্তিকে শতভাগ ও যৌথ মিলিয়ে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য নিবন্ধিত মোট প্রকল্প সংখ্যা ছিল ৩৬। এর মধ্যে ২১টি প্রকল্প শতভাগ বিদেশি। এসব প্রকল্পে প্রস্তাবিত মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৩০ হাজার ৭৪০ কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এক্ষেত্রে ৫০টি বিনিয়োগ প্রস্তাব নিবন্ধিত হয়েছিল। আর প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ১২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন