৩৭ বছর একসাথে থাকার পর অবশেষে বিয়ের সিদ্ধান্ত। পাত্রের বয়স ৯০! আর পাত্রী ৯২ বছরের! আপাতত এই দম্পতিকে নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বিয়ে উপলক্ষে কদিন আগেই আনন্দে মেতে উঠেছিল নবদম্পতির গোটা পরিবার।
কথায় বলে, ভালোবাসা কোনও নিয়ম মানে না। কোনও বেড়াজালে তাকে বাঁধা যায় না। আরও একবার সেই প্রবাদকেই সত্যি বলে প্রমাণ করলেন মরিস বেনটন এবং তার ৩৭ বছরের সঙ্গিনী জোয়ান ওরিস। জনপ্রিয় একটি সংবাদপত্রে তাদের প্রেম কাহিনি প্রকাশিত হয়েছে। সেই 'গল্প' মন কেড়ে নিয়েছে আট থেকে আশির। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তরুণ বয়সেই মরিসের সঙ্গে জোয়ানের আলাপ হয়েছিল। তারপর বহু বছর কেটে যায়। এরপর একটা সময় তারা দুজনেই বুঝতে পারেন, পরস্পরের প্রেমে পড়েছেন। কিন্তু, সেই সম্পর্ককে সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও তাগিদ অনুভব করেননি।
এরপর টানা ৩৭ বছর ধরে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন মরিস ও জোয়ান। তবে, তারা কোথায় থাকেন, বা তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী নিয়ে খুব বেশ কিছু ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হন মরিস। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে যে পাকাপাকিভাবে পরস্পরের থেকে আলাদা হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু, শেষমেশ হার মানতে হয় মৃত্যুকেও। আর এই ঘটনার পরই এই যুগলের মনে হয়, তাদের এবার বিয়ে করে নেওয়া উচিত।
অবশেষে জীবনের ৯০ টা বসন্ত পার করার পর মরিস তার প্রিয়তমা জোয়ানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন! ৯২ বছরের জোয়ান সেই প্রস্তাবে সায়ও দেন। তাদের এই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি পরিবার, পরিজন, আত্মীয়, বন্ধু ও প্রতিবেশীরা। তারা এই জুটিকে 'মো অ্যান্ড জো' নামে ডাকছেন!
জোয়ান ওরিসের নিজের দুই সন্তান রয়েছেন। রয়েছেন ছয় নাতি-নাতনি এবং তাদের দুই সন্তানও। মরিস হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু, তবুও ৩৭ বছরের সঙ্গীকে একবারের জন্যও একলা ছাড়েননি তিনি। জোয়ান ও তার পরিবারের সকলের আন্তরিক চেষ্টায় এবং চিকিৎসকদেপ অক্লান্ত পরিশ্রমে সেরে উঠেছেন ৯০-এর তরুণ। আর মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেই নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্নে বুঁদ হয়ে যান মরিস। জোয়ান সেই উৎসাহে ভাটা পড়তে দেননি।
এরপর স্থানীয় একটি চার্চে গিয়ে বিয়ে সেরে নেন মো-জো! নেন আজীবন পরস্পরের সঙ্গে থাকার, পাশে থাকার শপথ। সাক্ষী থাকেন প্রিয়জনেরা। উল্লেখ্য, এর আগে দুবার বিয়ে হয়েছিল জোয়ানের। প্রথম বিয়ের স্মৃতি খুব একটা সুখের ছিল না। শেষ পর্যন্ত প্রথম স্বামী সঙ্গে আইনত বিচ্ছেদ হয়ে যায় তার। আর তার দ্বিতীয় স্বামী মৃত্যু হয় ৫০ বছর বয়সে। এরপর থেকেই মরিসের সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে আবদ্ধ হন তিনি। এর আগে ২০২১ সালেও এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছিল। অস্ট্রেলিয়া গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ৯৩ বছরের ম্যারি হিল এবং ১০০ বছরের রন হেডলি! সূত্র: ডেইলি মেইল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন