শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৭ দিনের রিমান্ডে শুটার মাসুম

ফলোআপ : টিপু-প্রীতি হত্যা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০২২, ১২:০১ এএম

রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার শুটার মো. মাসুম ওরফে আকাশের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার তাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৪ মার্চ রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল এজিবি কলোনি থেকে বাসায় যাওয়ার পথে শাহজাহানপুর থানার আমতলা এলাকায় জাহিদুল ইসলাম টিপু, তার ড্রাইভার ও রিকশা আরোহী সামিয়া আফরান প্রীতি নামের এক তরুণীর ওপর গুলি চালান মো. মাসুম ওরফে আকাশ। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও রিকশা আরোহী প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। গত রোববার ডিবি জানায় শুটার মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বগুড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বগুড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
খুঁড়িয়ে হাঁটা শুটার মাসুম নিশ্চুপ ছিলেন কাঠগড়ায়ঃ রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কাঠগড়ায় প্রবেশ করেন। দাঁড়াতে পারছিলেন না বলে বিচারকের নির্দেশে হেলমেট, জ্যাকেট ও হাতকড়া খুলে দিয়ে তাকে টুলে বসতে দেয়া হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার আসামির ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড শুনানিতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, এটি একটি আলোচিত জোড়া খুনের মামলা। জাহিদুল ইসলাম টিপু আওয়ামী লীগ নেতা। তার রক্তে আওয়ামী লীগ মিশে আছে। এ আসামি তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেন। একজন কলেজছাত্রীর জীবনও শেষ হয়ে গেছে। যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে তা এখনো উদ্ধার হয়নি। আকাশ যে মোটরসাইকেলে এসেছিল তাও উদ্ধার করা যায়নি। এ অবস্থায় ঘটনার মূলহোতা, ইন্ধনদাতা ও ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র ও আলামত উদ্ধারের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাই এই আসামির ১৫ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
আসামিপক্ষে শাহনাজ বেগম মনি রিমান্ড বাতিল চান। শুনানিতে তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নেতা কেন, একজন সাধারণ মানুষ খুন হলেও আমরা সেই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই। কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে আমার মোয়াক্কেল জড়িত না। আসামি একটি চাকরি করতেন। অফিসিয়াল ছুটি নিয়ে তিনি বগুড়ায় কাজে গিয়েছিলেন। ঘটনার পর তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার হাতের ও পায়ের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে।
তখন বিচারক বলেন, তার যে নখ তোলা হয়েছে তা তো দেখতে পাচ্ছি না। এরপর আইনজীবী শাহনাজ বেগম মনি বলেন, তাকে যা জিজ্ঞাসাবাদ করার তা করা হয়েছে। আরও প্রয়োজন হলে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কাজেই তার রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। তখন বিচারক আইনজীবীর কাছে জানতে চান, আপনার আসামি কী করেন? তিনি কেন সেখানে গিয়েছিলেন? তখন আইনজীবী মাসুমের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। তবে মাসুম কোনো উত্তর দেননি। তিনি নিশ্চুপ ছিলেন। এরপর আদালত মাসুমের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Yousman Ali ২৯ মার্চ, ২০২২, ৮:৩৮ এএম says : 0
এটা কি হলো কিছুই বলতে পারিনা
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন