শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সন্দেহের গ্রেফতার আর নয়

মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা

প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:১৭ পিএম, ১০ নভেম্বর, ২০১৬

মালেক মল্লিক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে যেমন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন; তেমনি বাংলাদেশে হাইকোর্ট গত ২৪ মে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার বন্ধের রায় দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ফৌজদারি কার্যবিধির বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার (৫৪ ধারা) ও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ধারা (১৬৭ ধারা) প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এ দুই ধারা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়েও ১০ দফার নীতিমালা এসেছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনের বিষয়েও সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
৫৪ ধারায় ঢালাওভাগে গ্রেফতার আতঙ্ক মানুষকে দুর্বিসহ অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। ৫৪ ধারা কার্যত দেশের সাধারণ মানুষ ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কাছে আতঙ্কের নাম। এই ধারা দেশের কত মানুষের যে চোখের পানি ফেলেছে, কত পরিবারকে তছনছ করে দিয়েছে, কত জনের সংসার যে চূড়মার করে দিয়েছে তার পরিসংখ্যান নেই। প্রশাসনে দলীয়করণের কারণে দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের আইনের অপব্যবহারে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দূর্বিসহ। কার্যত দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, বিনিয়োগে প্রধান বাধা এই ৫৪ ধারার অপপ্রয়োগ। আর এই ধারা বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর হলে ‘৫৪ ধারা’ গ্রেফতার বন্ধ হবে এবং ধারাটি শুধু ‘ইতিহাস’ হয়ে থাকবে। গতকাল পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর দেশের সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও আইনজীবিরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন, হাইকোর্টের এ রায় মানতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী বাধ্য। অথচ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে। আমরা মনে করি পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আদালতের দেয়া নির্দেশনা পালনের প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ৫৪ ধারার নামে বন্ধ হবে গ্রেফতার বাণিজ্য। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ড. শাহদীন মালিক আরো বলেন, আদালতের রায় অমান্য হলেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
রুবেলের কথা মনে আছে? ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থী শামীম রেজা রুবেল? ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করেন তৎকালীন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার। এরপর ডিবি কার্যালয়ে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়, পরবর্তীতে বিচারিক আদালত এসি ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদ-। শুধু রুবেল নয়, ৫৪ ধারায় নিয়ে মানুষের ভীতি-উদ্বেগ-উৎকন্ঠার কি শেষ আছে? ইচ্ছে করলেই ওই ধারায় গ্রেফতার করে নিয়ে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ যেন স্বাধীন দেশে পরাধীনতা! আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো সময় যে কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারে। এই ধারা ব্যবহারে গুম, গ্রেফতার করে অস্বীকার, কিছুদিন পর গ্রেফতারের গল্প বানানোর অসংখ্য কাহিনী রয়েছে। ৫৪ ধারা কার্যত বিনিয়োগে অন্যতম বাধা। আইনের ফাঁদে ফেলে নির্যাতন কত ঘটনা! খুশির খবর হলো এখন আর ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। আদালতের দেয়া ৫৪ ধারা বাতিলের পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে হাইকোটের আপিল বিভাগ। সরকারের করা আপিল খারিজ করে ৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।
গতকাল আপিল বিভাগের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে ম্যাজিস্ট্রেট, জজ, ট্রাইব্যুনালসহ সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে কতগুলো নির্দেশনা আছে যার মধ্যে অন্যতম হল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে যাকে গ্রেফতার করবে তার কোন ভাবেই যাতে মানবাধিকার ক্ষুন্ন না হয়। যে আসামিকে গ্রেফতার করা হবে তাকে যাতে কোন রকমে নির্যাতন বা হেয় না করা হয়। তবে ব্যতিক্রম হলো- দেশে যদি যুদ্ধ অবস্থা থাকে, জাতির নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশংকা, রাজনৈতিক সংকটাপন্ন অবস্থায় বিষয়গুলো। এছাড়া আরো কতগুলো নির্দেশনার মধ্যে হল ১৫ দিনের বেশি রিমান্ড নিতে পারবে না। যাকে গ্রেফতার করা হবে তাকে মেমোন্ডাম তার সই নিতে হবে। তার গ্রেফতারের কখন কোথায় কিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তার উল্লেখ করতে হবে। গ্রেফতারের পর নিকট আত্মীয় তথা তার বন্ধুকে ১২ ঘন্টার মধ্যে জানাতে হবে। স্পেশাল ডিটেনশন দেয়া ব্যক্তিকে ৫৪ ধারা গ্রেফতার করা যাবে না।
এর আগে হাইকোর্ট যেসব নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেগুলো হলো ক. আটকাদেশ (ডিটেনশন) দেওয়ার জন্য পুলিশ কাউকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতাার করতে পারবে না। খ. কাউকে গ্রেফতার করার সময় পুলিশ নিজের পরিচয়পত্র দেখাতে বাধ্য থাকবে। গ. গ্রেফতার ৩ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে কারণ জানাতে হবে। ঘ. বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যস্থান থেকে গ্রেফতার ব্যক্তির নিকটাত্মীয়কে এক ঘণ্টার মধ্যে টেলিফোন বা বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে জানাতে হবে। ঙ. গ্রেফতার ব্যক্তিকে তার পছন্দ অনুযায়ী আইনজীবী ও আত্মীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করতে দিতে হবে। চ. গ্রেফতার ব্যক্তিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে কারাগারের ভেতরে কাঁচের তৈরি বিশেষ কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। ওই কক্ষের বাইরে তার আইনজীবী ও নিকটাত্মীয় থাকতে পারবেন। ছ. জিজ্ঞাসাবাদের আগে ও পরে আটককৃত ব্যক্তির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে হবে। জ. পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করবে। বোর্ড যদি বলে ওই ব্যক্তির ওপর নির্যাতন করা হয়েছে তাহলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা নেবেন এবং তাকে দ-বিধির ৩৩০ ধারায় অভিযুক্ত করা হবে। মূলত পরোয়ানা ছাড়া ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার ও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ১৬৭ ধারা সংশোধনে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে।  
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্র জানায়, রায়ের কপিতে বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর ৪শ’ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়। পরে তা ওয়েব সাইটে দেয়া হবে। উল্লেখ গত ১৭ মে ৫৪ ধারা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরদ্ধে ২৪ মে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং রিট আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুলাই ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করেন তৎকালীন গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার। এ ঘটনায় রুবেলের বাবা রমনা থানায় এসিসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০০২ সালে বিচারিক আদালত এসিসহ ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন।
সরকার রুবেল হত্যা তদন্তে বিচারপতি হাবিবুর রহমান খানের সমন্বয়ে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের পক্ষে কয়েকটি সুপারিশ করেন। সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) হাইকোর্টে একটি রিট করে। ২০০২ সালের ২৯ নভেম্বর আদালত সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। এরপর রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৩ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট এ ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশনা ও সুপারিশ দিয়ে রায় দেন। হাইকোর্টের ওই রায়ে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রচলিত বিধান সংশোধন করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এ জন্য ৬ মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। আর ধারা সংশোধনের আগে এ ক্ষেত্রে কয়েক দফা নির্দেশনা অনুসরণ করতে সরকারকে বলা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে সরকার। ২০০৩ সালের ২ আগস্ট আপিল বিভাগ আপিল মঞ্জুর করেন। তবে হাইকোর্টের ওই নির্দেশনাগুলো সে সময় স্থগিত করা হয়নি। লিভ টু আপিল মঞ্জুরের পর সরকার আপিল করে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২২ মার্চ আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়ে ১৭ মে শেষ হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, আপিল বিভাগের রায়টি যাতে কোন কেউ অযথা হয়রানি শিকার না হন সেজন্যই নাগরিকদের জন্য সুরক্ষায় যুগান্তকারী রায়। যারা অপরাধ সংঘঠিত করেন বা করতে উদ্ধত হন তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য এই বিধান। তিনি আরো বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ৫৪ ধারা যাতে সঠিকভাবে প্রয়োগ করেন এই রায়ের সেটা পরিষ্কারভাবে বলা আছে। আজকের আপিল বিভাগের রায়ে নিরপরাধ মানুষ হরয়ানি শিকার বন্ধ হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।  
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ফৌজদারী ৫৪ ধারা মোতাবেক পুলিশকে অঘাত ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। যে কোন মানুষকে সন্দেহজনকভাবে অথবা অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছে এই সন্দেহে আটক করা হতো। পূর্বে হাইকোর্ট রায়ে বলা হয়, ৫৪ ধারা অপপ্রয়োগের ফলে সাধারণ নাগরিকরা বিভিন্নভাবে পুলিশিরে হরয়ানি শিকার হচ্ছে। পরবর্তীতে ওই রায়ে হাইকোর্ট বিভাগ কতগুলো সুনিদিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু র্দুভাগ্যজনক ব্যাপার হলো সেগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তথা পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা যথাযথভাবে পালন করত না। আশা করি আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন, এটা অবশ্যই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা মেনে চলবেন। অন্যথায় তারা আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গের তথা আদালত অবমাননান অভিযোগে অভিুক্ত হবেন। দেশের সাধারণ নাগরিকদের মৌলিক অধিকারে এই রায়টি উল্লেখযোগ্য রায়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা যাতে বাস্তবায়ন হয় এটাই প্রত্যাশা থাকবে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেছেন, আপিল বিভাগের রায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রধান বিচারপিত লম্বা জাজমেন্ট দিয়েছেন। এখানে অনেক ভাল কথা বলেছেন। ১৮ বছর শেষ হলো। রায়ে বলেছেন, শ্যোন অরেস্ট পুলিশ যেভাবে হেনস্থ করে সেক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রটকে দেখতে হবে যে মামলা ওই আসামিকে শ্যোন অরেস্ট দেখানো হলো তার সঙ্গে আসামি  জড়িত আছে কিনা। পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি আরো বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের সন্দেহ হয় যে পুলিশ নির্যাতন করেছে তাহলে তাদের ২০১৩ আইন অনুয়ারী বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। পুলিশের নিযার্তনের কারণে যদি কারো যদি মৃত্যু হয় তাহলে ওই পুলিশের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। যদি মৃত্যু ব্যক্তিকে কবর দেয়া হয় তাহলে লাশ উত্তোলন করে মৃত্যুর কারণ শনাক্ত অভিুযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Asadujjaman Anis ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:১৭ এএম says : 0
Good
Total Reply(0)
বিপ্লব ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২৫ এএম says : 0
আশা করি আদালতের এই নির্দেশনা পরিপূর্নভাবে মানা হবে।
Total Reply(0)
আবির ১১ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৩ এএম says : 0
আপিল বিভাগের রায়টি যাতে কোন কেউ অযথা হয়রানি শিকার না হন সেজন্যই নাগরিকদের জন্য সুরক্ষায় যুগান্তকারী রায়।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন