ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ১ এপ্রিল থেকে ডিএনসিসি সকল অঞ্চলে অনলাইনের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা হবে। কোন অবস্থাতেই ১ এপ্রিলের পর হতে ডিএনসিসিতে নগদ টাকায় লেনদেন করা হবে না। এখন থেকে অটোমেশনের মাধ্যমে ট্যাক্সসহ অন্যান্য সকল বিল নেয়া হবে। বিদেশে বসেও যে কেউ ট্যাক্স দিতে পারবেন। গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের হলরুমে রাজস্ব বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তবে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে নগরবাসী ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতো। তাদের হয়রানি ও ভোগান্তি বন্ধ করতেই এরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাশলেস লেনদেনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। অটোমেশনের মাধ্যমে নগরবাসী যেমন ঘরে বসে কাঙ্খিত ডিজিটাল সেবা পাবেন ঠিক তেমনি এর ফলে লাঘব হবে মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম এবং সাশ্রয় হবে সকলের সময়, কর্মঘণ্টা, কমবে গ্রাহকের ভোগান্তি ও হয়রানি।
নগরবাসীর উদ্দ্যেশ্য মেয়র বলেন, ইমেইল এড্রেস, ফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে খুব সহজেই একটি একাউন্ট খুলে ট্যাক্স দেয়া যাবে। আপনারা এই তিনটি তথ্যের মাধ্যমে ঘরে বসেই অনলাইনে ট্যাক্স পরিশোধ করুন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা অনলাইনে আপনাদের বাড়ির মাপ অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করবেন। তবে রাজউক, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ওয়াসা এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সিটি করপোরেশনের চুক্তি হচ্ছে। এর মাধ্যমে সিটি করপোরেশন জানবে বাড়িটি কত স্কয়ার ফিটের। চাইলেও বাসার মাপ কম উল্লেখ করে ট্যাক্স ফাঁকি দেয়া যাবে না। রাজধানীর অনেকগুলো এলাকার বাসিন্দারা কিছু ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে তাই সেসব এলাকায় অন্য এলাকার তুলনায় ট্যাক্স রেট কিছুটা বেশি হবে।
ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, নগর গবেষণা কেন্দ্রের সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, দ্যা ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ডিএনসিসিতে কাউন্সিলর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ডিএনসিসি এলাকার বিভিন্ন সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন