পাহাড়ী সন্ত্রাসী, মাদকসেবী, মাদক কারবারী ও হাতির ভয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া উপহার ঘরে অধিকাংশ লোক উঠছে না। বিগত ১ বছর গত হলেও ২৩০টি পরিবারের মধ্যে বসবাস করছে ২৫-৩০টি ঘরের লোকজন। চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কেলিশহর ও হাইদগাঁও পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত এ প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যে ২৩০টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ভূমিহীন ২০০ মানুষকে ঘরের রেজিষ্ট্রি দলিল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। একদিকে যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাটের অবস্থা ভাল নেই। অন্যদিকে, দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় বিভিন্ন ভীতির কারণে লোকজন প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের এ ঘরগুলোতে উঠতে অনীহা প্রকাশ করছে। প্রাথমিক পর্যায়ে নির্মিত ঘরগুলোর ব্যাপারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। যেমন- অধিকাংশ ঘরের ভেন্টিলেটার ভাঙ্গা, কোনটির মেঝেতে ফাটল, ঘরের ছাউনীতে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের টিন ও কাঠ। জানালার গ্রীলে মরিচা ধরেছে। পত্রিকায় লেখালেখি হওয়ার পর এগুলো পুনরায় ঠিক করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, কচুয়াই মাতঙ্গিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে প্রায় ১০ একর খাস ভূমি একটি ভূমিদূস্য সিন্ডিকেট উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সেখানে প্লট বানিয়ে দখল স্বত্ব বিক্রি করছে। আশ্রয়ন প্রকল্পের স্থান নির্ধারণের সময় এ খাস ভূমি স্থান নির্ধারণ না করে পাহাড়ী ভূমিতে স্থান নির্ধারণ করে। বর্তমানে ৯৫টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার প্রকল্প পরিদর্শনে যাবেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাজীব হাসান ইনকিলাবকে বলেন, আগের কাজগুলো সম্পর্কে আমার জানা নেই। বর্তমানে যেগুলোর কাজ চলছে সেগুলো আমি তদারক করছি। কাজগুলো ভাল হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন