সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার ভিসা চালু আজ

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২২, ১২:১৩ এএম

সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি দুই দেশে বাংলাদেশে প্রবাসী শ্রমিকরা কাজ করেন। প্রতিবছর দেশ দু’টি থেকে প্রচুর রেমিট্যান্স আসে। বৈশ্বিক মহামারি মহামারি করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে বাংলাদেশিদের জন্য সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার সবধরনের ভিসা চালু করছে। শ্রম বাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণ, মেডিক্যাল এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের পথ খুলে গেল।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব সম্প্রতি ২ বছর পর পুরোদমে ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর ঘোষণা দেন। তিনি ১ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের জন্য সীমানা সম্পূর্ণরূপে খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণায় বলেন, দর্শনার্থীদের পাশাপাশি মালয়েশিয়া থেকে ফেরত আসা কর্মী যারা দুই ডোজ বা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন, তারা খুব সহজেই মালয়েশিয়ায় ঢুকতে পারবেন। তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই। তবে তাদের অবশ্যই যাত্রার ২ দিন আগে একটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা এবং পৌঁছানোর পরে একটি দ্রæত পরীক্ষা (আরটিকে) করতে হবে। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে পর্যটনসহ সবধরনের ভিসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেশের সীমানা সম্প‚র্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছিল দেশটির সরকার। সূত্রমতে, এরই মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৯৮ শতাংশকে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে এবং অর্ধেকেরও বেশি বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।

এদিকে বাংলাদেশি ট্যুরিস্টদের অন্যতম গন্তব্য সিঙ্গাপুর। আর মালয়েশিয়ার মতো সিঙ্গাপুরও আজ থেকে ভ্রমণ, মেডিক্যাল এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সব ধরনের ভিসা চালু করছে। সিঙ্গাপুর সরকার দেশের অর্থনীতি এবং জীবনযাত্রা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আনার কাজ শুরু করেছে। এই ধারাবাহিকতায় দর্শনার্থীদের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আসা কর্মী যারা দুই ডোজ বা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন, তারা খুব সহজেই দেশটিতে ঢুকতে পারবেন। তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন নেই। তবে তাদের অবশ্যই যাত্রার ২ দিন আগে একটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা এবং পৌঁছানোর পরে একটি দ্রæত পরীক্ষা (আরটিকে) করতে হবে। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে পর্যটনসহ সবধরনের ভিসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেশের সীমানা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছিল দেশটির সরকার। তবে ৬ থেকে ৭ মাস আগে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের শর্তে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ভিসা চালু করেছিল দেশটি। এছাড়া গত বছরের ১৭ জুন থেকে জরুরি ব্যবসা বা অফিসিয়াল কাজে গ্রিন/ফাস্ট লেন অ্যারেঞ্জমেন্টের মাধ্যমে বিশেষ ব্যবস্থা কিছু ভিসা চালু রাখে সিঙ্গাপুর। তবে আজ ১ এপ্রিল থেকে সব ধরনের ভিসা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

অভিবাসন বিশ্লেষক হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ইনকিলাবকে বলেন, মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১ এপ্রিল বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার সব ধরনের ভিসা চালু হওয়া একটি বড় সুখবর। কারণ দুটি দেশের সঙ্গেই আমাদের ট্যুরিজম, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শ্রমবাজার নির্ভরশীল। দুটি দেশই রেমিট্যান্সের বড় উৎস। দীর্ঘদিন পর হলেও দেশ দুটির ভিসা চালুর উদ্যোগ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Md. Masud Rana ১ এপ্রিল, ২০২২, ৬:৫৭ এএম says : 0
কবে থেকে কালিং শুরু হবে
Total Reply(0)
মোঃজুয়েল রানা ১ এপ্রিল, ২০২২, ৬:৫৭ এএম says : 0
কলিং কবে থেকে ছাড়বে
Total Reply(0)
Suvo Kumar Das ১ এপ্রিল, ২০২২, ৬:৫৭ এএম says : 0
বাংলাদেশের জন্য মালাইশিয়া সরকার কবে কলিং ভিসা ছাড়বে
Total Reply(0)
Jasmin Rumu ১ এপ্রিল, ২০২২, ৬:৫৮ এএম says : 0
Yes আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন