রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অযোগ্য নৌযান ফিটনেস সনদ নিয়ে চলাচলের সুযোগ পাচ্ছে

অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দায়ীদের শাস্তি দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় দায়ী সকলের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে নিহত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন এবং নৌ দুর্ঘটনা সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনতে কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ ১২টি বেসরকারি সংগঠন।

গতকাল শনিবার ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার ১০০ দিন পূর্তিতে এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতারা এ দাবি করা হয়। নেতারা বলেন, একের পর এক লঞ্চসহ বিভিন্ন ধরনের নৌ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটলেও এসব নিয়ন্ত্রণ বা সহনীয় মাত্রায় নামিয়ে আনার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। এ ছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের দৃশ্যমান শাস্তি না হওয়ায় সারা দেশে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নাকের ডগায় অসংখ্য অবৈধ, ত্রুটিপূর্ণ ও অনিবন্ধিত নৌযান চলাচল করছে। যথাযথভাবে পরীক্ষা না করে চলাচলের অযোগ্য নৌযানকে ফিটনেস সনদ প্রদান ও বিভিন্ন নৌপথে চলাচলের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
দায়ীদের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বৈত অবস্থানে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে যাত্রীভর্তি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা এই প্রথম হলেও এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি এখনো নিশ্চিত হয়নি। সরকারি ও নাগরিক তদন্ত কমিটির আলাদা প্রতিবেদনে লঞ্চের চারজন মালিক, দুজন মাস্টার, দুজন ড্রাইভারসহ মোট ১২ জনকে দায়ী করা হয়। যাদের মধ্যে ফিটনেস প্রদানকারী শিপ সার্ভেয়ারসহ চার সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। অভিযুক্ত ১২ জনের মধ্যে চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে মামলা দায়ের ও তাদের সাতজনকে কারাবন্দি করা হলেও চার সরকারি কর্মকর্তা এখনো স্বপদে বহাল রয়েছেন। তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার ও সাময়িক বরখাস্ত না করা হলে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার তদন্ত কার্যক্রম প্রভাবিত হবে এবং তারা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়ে যাবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে।


বিবৃতিদাতারা হলেন গ্রিন কাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ, নিরাপদ নৌপথ বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, প্রভারটি ইমুলিনেশন অ্যাসিসট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, কমিটি টু প্রটেক্ট রিভার অ্যান্ড কোস্টের (সিপিআরসি) সদস্যসচিব কামরুজ্জামান নাছিম, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, আলোকিত গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ ও দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন