সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অনুমতি পেয়েও ৭ নভেম্বরের সমাবেশ করেনি বিএনপি : হানিফ

প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ৭ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুমতি পেয়েও ষড়যন্ত্র করে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপি সমাবেশ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি জানান, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে সাওতাল উচ্ছেদ ও সাওতাল পল্লীতে আগুন, হামলার ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল রোববার গাইবান্ধা যাচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ তিনি এ অভিযোগ করেন।
হানিফ বলেন, রাজনীতিতে মিথ্যাচার ও শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজকে যারা আদর্শ মনে করে সেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে বিএনপি। সে অনুযায়ী পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে সমাবেশের অনুমতি দেয়। কিন্তু বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, তারা যেখানে সমাবেশ করতে চায় সেখানে তাদের দেয়া হচ্ছে না। এদেশের মিথ্যাচারের যে বড় তালিকা আছে এতে আরেকটি মিথ্যাচার যুক্ত হলো।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্যান্টনমেন্টে যেসব দলের আবির্ভাব তাদের কাছ থেকে এরচেয়ে বেশি প্রত্যাশা করা যায় না। আমি মনে করি দেশের মানুষ অতীতের মতো বিএনপির এই মিথ্যাচারকেও ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখবে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, তারা (বিএনপি) মনে করেছিল পশ্চিমা একটি দেশের নির্বাচনে তাদের পছন্দের বিশেষ ব্যক্তি ক্ষমতায় এলে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকার উৎখাত করে ক্ষমতায় আসবে।
গণমাধ্যমকে দেয়া খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎকারের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া দাবী করেছেন দেশে ভোটাধিকার নাই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই। কিন্তু আমি বলবো পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অবস্থান ভালো।
হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া অসত্য বক্তব্য জাতি যেন বিভ্রান্ত না হয় এ জন্য আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির বক্তব্যের অসত্য চিত্রগুলো তুলে একটি বিবৃতি দিয়ে তাদের অনুরোধ করেছিলেন অসত্য বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত না করতে। কিন্তু বিএনপি এর বিরুদ্ধে আজ একটি বিবৃতি দিয়ে তাদের অন্তঃসারশূন্য রাজনীতি নিলর্জ্জভাবে জাতির কাছে মনগড়া কাল্পনিক বক্তব্য উপস্থাপন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টার প্রয়াস আবারও করেছে। আমরা বিএনপির শিষ্টাচার বিবর্জিত মিথ্যাচারে নিন্দা জানায়।
প্রসঙ্গত: ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহ স্মরণে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছিল বিএনপি। পুলিশ আবেদন নাকচ করে দিলে ৮ সেপ্টেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চায় বিএনপি। ওইদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তাদেরকে এখনও অনুমতি দেয়া হয়নি। পরে ১৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে ডিএমপির কাছে আবারও অনুমতি চায় দলটি।
কিন্তু ওইদিন বেলা দেড়টার দিকে ডিএমপির পক্ষ থেকে সেদিনই বেলা দুইটা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপিকে ২৭টি শর্তে সমাবেশ করার সময়সীমা বেঁধে দেয় ডিএমপি। ডিএমপির এমন অনুমতি দেয়াকে হাস্যকর আখ্যায়িত করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো ১৩ তারিখে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছি। এখন অনুমতি দেয়ার মানে কী?
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সম্পাদকম-লীর সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলী, আবদুস সোবহান গোলাপ, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আবদুস সবুর, শামসুন নাহার চাঁপা, রোকেয়া সুলতানা, বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য আনোয়ার হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন