দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক (বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়) মো. জুলফিকার আলী (৫৫) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মহাখালীর ক্যানসার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী,এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। জুলফিকার আলীর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও।
পরিবার সূত্র জানায়, মো: জুলফিকার আলীর শরীরে চলতিবছর জানুয়ারি মাসে লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রথমে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ পরে ঢাকার ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করালেও কাজ হয়নি। এ জন্য দেশের ক্যান্সার হাসপাতালেই চলছিলো তার চিকিৎসা।
দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (দুসা) সভাপতি মশিউর রহমান জানান,গতকাল বুধবার সাড়ে ১১টার দিকে সেগুনবাগিচাস্থ দুদক কার্যালয়ে প্রথম জানাযা হয়। দ্বিতীয় জানাযা হয় রাজধানীর খিলগাঁও। পরে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়। জুলফিকার আলী জুয়েল ১৯৯৫ সালে এন্টিকরাপশন অফিসার (এসিও) পদে যোগ দান করেন। ২০০৭ সালে তিনি উপ-পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১৯ সালে পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে পদায়ন করা হয়।
জুলফিকার আলী জুয়েল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণীবিদ্যায় অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করে দুদকে যোগদান করেন। একাধারে তিনি ছিলেন লেখক, নাট্যকার ও গীতিকার। তার লেখা নাটক দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রমের কর্মসূচিতে মঞ্চস্থ হয়।
গতকাল সাড়ে ১১টায় নামাজে জানাজায় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ, কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক, দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মহাপরিচালক, তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মীসহ সর্বস্তরের কর্মককর্তা-কর্মচারি অংশ নেন। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে দুদক সার্ভিস এসোসিয়েশন (দুসা), সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স এগেনেস্ট করাপশন ’(র্যাক)। পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন। শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন