ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল বুধবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে খাবারের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিত্যপণ্যের দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায়, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল ৫-এর আওতাধীন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডস্থ কারওয়ান বাজার এলাকায় উচ্ছেদ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে বিভিন্ন ধারায় ১০টি মামলায় মোট একচল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০) ১৪নং ওয়ার্ড এলাকায় মো. আবেদ আলী আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভযানে প্রায় ৩৭টি ভবন, স্থাপনা, খাল, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল খাদ্যদ্রব্যর বিরুদ্ধে ২টি হোটেলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা হয়েছে। করোনাভাইরাস জনিত রোগ বিস্তার রোধে জনসাধারণকে সতর্ক করাসহ মাস্ক বিতরণ করা হয়।
অঞ্চল ৯ এর আওতাধীন নতুন বাজার, ভাটার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী জিয়াউল বাসেত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসয় রাস্তার উপরে থাকা ১০টি ফলের দোকান অপসারণ করা হয়। অঞ্চল-২ এর আওতাধীন ওয়ার্ড নং ৩ মিরপুর মডেল থানা এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মো. জিয়াউর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের বিরুদ্ধে হোটেল, রেস্তোরায় মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়।
অঞ্চল-১, ওয়ার্ড নং-১ এর সেক্টর ৬ ও ৪ এ আজমপুর এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মো. জুলকার নায়ন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট (অঞ্চল-১) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে দোকান মালিকগন দ্রব্যমূল্যের তালিকা মোতাবেক বিক্রি হচ্ছে কিনা ও স্বাস্থবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা হয়। এছাড়াও ওয়ার্ড-১৭ এর খিলক্ষেত উত্তর নামাপাড়া এলাকায় ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপস শীল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন